এ বারের লোকসভা ভোটেও বাড়ল না ভোটকর্মীদের পারিশ্রমিক। সম্প্রতি দিল্লির মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক দফতর থেকে সাধারণ নির্বাচনে ভোটকর্মীদের পারিশ্রমিক সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছে, তাতে দেখা যাচ্ছে, ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনে বিভিন্ন শ্রেণির ভোটকর্মীদের জন্য যে পরিমাণ পারিশ্রমিক বরাদ্দ ছিল, এ বারও তা এক রয়ে গিয়েছে। আর এ কথা জানাজানি হতেই ভোটকর্মীদের মনে ক্ষোভ পুঞ্জীভূত হয়েছে।
আরও পড়ুন:
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, প্রিসাইডিং এবং পোলিং আধিকারিকদের দৈনিক পারিশ্রমিক যথাক্রমে ৩৫০ এবং ২৫০ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। প্রশিক্ষণ এবং ভোটের দিনে কাজের জন্য প্রিসাইডিং এবং পোলিং অফিসাররা দৈনিক ৩৫০ টাকা এবং ২৫০ টাকা পাবেন। সেই ভাতার পরিমাণ একই রয়েছে। তা ছাড়া খাওয়াদাওয়ার দৈনিক ভাতা ১৫০ টাকা আছে। সেক্টর অফিসার-সহ কিছু ভোটকর্মীকে এককালীন টাকা দেওয়া হয়। মাইক্রো পর্যবেক্ষক এবং জেনারেল পর্যবেক্ষকরাও এককালীন অর্থ পেয়ে থাকেন। সেই বরাদ্দের পরিমাণ একই রয়ে গিয়েছে। প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে ভোটকর্মীদের পারিশ্রমিক শেষ বার বৃদ্ধি করা হয়েছিল। সেই একই পারিশ্রমিকে ২০১৯ সালের লোকসভা এবং ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে কাজ করেছিলেন সরকারি কর্মচারীরা। তাঁরাই পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচন কমিশনের অধীনে ভোটকর্মী হিসাবে কাজ করে থাকেন। কিন্তু গত ১০ বছরে পারিশ্রমিক বৃদ্ধি না হওয়ায় ক্ষোভের কথা নিজ নিজ সংগঠনের নেতাদের জানিয়েছেন সরকারি কর্মচারীরা।
এ প্রসঙ্গে ভোটকর্মী ঐক্য মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক স্বপন মণ্ডল বলেন, ‘‘গত দশ বছর ধরে ভোটকর্মীদের পারিশ্রমিক অপরিবর্তিত আছে। শেষ বার বেড়েছিল ২০১৪ সালে। দেশে গত দশ বছরে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম দ্বিগুণের বেশি হলেও এবং নির্বাচনের সার্বিক খরচ বাড়লেও শুধুমাত্র ভোটকর্মীদের পারিশ্রমিক অপরিবর্তিত আছে। এটা অত্যন্ত অন্যায় এবং অযৌক্তিক। আমরা দাবি করছি, এই পারিশ্রমিক অন্তত ৫০%বৃদ্ধি করা হোক।’’