হেলমেট ছাড়াই ফের ভোটের প্রচারে তৃণমূল প্রার্থী উত্তম বারিক (পিছনে)। নিজস্ব চিত্র।
ষষ্ঠ দফায় হবে কাঁথি লোকসভা কেন্দ্রের নির্বাচন। আগামী ২৫ মে কাঁথি লোকসভার ভোট। হাতে প্রায় দু'মাসের কাছাকাছি সময় রয়েছে। তবু ভোট প্রচারে বিধানসভা ভিত্তিক জনসংযোগ এবং ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলিতে যাওয়ার হিড়িক পড়েছে তৃণমূল ও বিজেপিপ্রার্থীদের মধ্যে। বৃহস্পতিবারও উত্তর কাঁথি বিধানসভা এলাকায় দাপিয়ে প্রচার করলেন দুই দলের প্রার্থীরা।
বৃহস্পতিবার সকালে কাঁথি-৩ ব্লকে নাচিন্দা মন্দিরে যান তৃণমূলের প্রার্থী উত্তম বারিক। তিনি সেখানে পুজো দেন। পরে দিনভর স্থানীয় কানাইদিঘি গ্রাম পঞ্চায়েতের বিভিন্ন গ্রামে প্রচার করেন উত্তম। এলাকার মানুষজনের সঙ্গে কথাবার্তা বলেন। পায়ে হেঁটে একের পর এক গ্রাম ঘুরে দেখেন। স্থানীয় কয়েকজন তৃণমূল প্রার্থীর কাছে অভিযোগ জানান, ১০০ দিনের প্রকল্পে কাজ করা সত্ত্বেও দু বছরের বেশি সময় ধরে বকেয়া মজুরি পাচ্ছেন না। লোকসভা ভোট মিটে যাওয়ার পর রাজ্য সরকার তাঁদের বকেয়া টাকা মিটিয়ে দেবে বলে আশ্বাস দেন তৃণমূল প্রার্থী।
এ দিন আবার একই এলাকায় প্রচার সারেন বিজেপি প্রার্থী সৌমেন্দু অধিকারী। উত্তর কাঁথি -২ মণ্ডলের কালিকাপুর গ্রামে দোল উৎসব উপলক্ষে প্রসাদ বিতরণ অনুষ্ঠানে যোগ দেন তিনি। পরে উত্তর কাঁথি -৪ মন্ডলের বাড়কাশমিলি গ্রামে দোল উৎসব উপলক্ষে অন্ন প্রসাদ বিতরণ কর্মসূচিতে অংশ নেন। বিকেলে চণ্ডীপুর-১ মন্ডলের উদ্যোগে চন্ডীপুরে একটি পদযাত্রা আয়োজন করা হয় বিজেপির তরফে। সেখানে কাঁথি লোকসভা কেন্দ্রের দলীয় প্রার্থী সৌমেন্দু অধিকারী ছাড়াও বিজেপি কাঁথি সাংগঠনিক জেলা সভাপতি অরূপ দাস, অন্যতম সাধারণ সম্পাদক চন্দ্রশেখর মণ্ডল, প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
দুই দলের যুযুধান দুই প্রার্থীর বেশি করে ধর্মীয় কর্মসূচিতে অংশ নেওয়াকে কটাক্ষ করেছে বামেরা। সিপিএম নেতা ঝাড়েশ্বর বেরা বলছেন,"কাঁথির মানুষের একটাই দাবি। অন্ন-বস্ত্র-বাসস্থান। দুই দলই জানে যে, তারা এই দাবি পূরণ করতে পারবে না। তাই ধর্মের আফিম খাইয়ে দিতে মরিয়া তৃণমূল আর বিজেপি।"
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy