E-Paper

শান্তির ভোটের আর্জি নিহতদের পরিবারের

২০০৯ সালের ৭ মে আসানসোলের পুরভোটে সেটেকন্যাপুর গ্রামে প্রাথমিক স্কুলে বুথের বাইরে দুষ্কৃতীদের গুলিতে মৃত্যু হয় অক্ষয় বাউড়ির।

নীলোৎপল রায়চৌধুরী

শেষ আপডেট: ১৩ মে ২০২৪ ০৯:৪৭
—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি। Sourced by the ABP

ভোটে সন্ত্রাসের স্মৃতি কম নয় জেলার বাসিন্দাদের। বোমা, গুলি থেকে প্রাণহানি, অতীতে বিভিন্ন ভোটে নানা অভিজ্ঞতাই হয়েছে দুর্গাপুর থেকে সালানপুর, পশ্চিম বর্ধমানের বাসিন্দাদের। আজ, সোমবার আরও একটি ভোট। তার আগে জেলার সাধারণ মানুষজন থেকে অতীতে ভোট-পর্বে প্রাণ হারানো বাসিন্দাদের পরিজন, সকলেরই আর্জি, ভোট হোক শান্তিপূর্ণ।

২০০৯ সালের ৭ মে আসানসোলের পুরভোটে সেটেকন্যাপুর গ্রামে প্রাথমিক স্কুলে বুথের বাইরে দুষ্কৃতীদের গুলিতে মৃত্যু হয় অক্ষয় বাউড়ির। বুথের ভিতরে ছিলেন তৃণমূলের পোলিং এজেন্ট গৌতম তেওয়ারি। গৌতম অভিযোগ করেন, বুথে ঢুকে দুষ্কৃতীরা তাঁর মাথায় পিস্তল ঠেকায়। এক ভোটকর্মীকে নিগ্রহ করে। তার পরে বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা তৃণমূল কর্মী অক্ষয়কে গুলি করে পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থলেই অক্ষয়ের মৃত্যু হয়। অক্ষয়ের ভাইপো রাজীব বাউড়ি বলেন, ‘‘মানুষ অবাধে ভোট দিতে পারুক, এটুকুই প্রার্থনা।’’

২০১১ সালের ৪ এপ্রিল জামুড়িয়ার তৃণমূল প্রার্থীর সঙ্গে বিধানসভা ভোটের প্রচারে বেরিয়ে খুন হন রবিন কাজি। ২০১৩ সালে পঞ্চায়েত ভোটের দিন চুরুলিয়ার মধুডাঙা বুথের সামনে সিপিএম প্রার্থীর স্বামী খুন হন। খানিক পরেই গণপিটুনিতে বুথের অদূরে খুন হন তৃণমূলের এক কর্মী। এর পরেও নানা নির্বাচনে পশ্চিম বর্ধমানে
খুনের ঘটনা না ঘটলেও, সন্ত্রাসের অভিযোগ উঠেছেই। নিহতদের পরিবারের সদস্যেরা বলছেন, ‘‘মানুষের রায় মেনে নিতেই হয়। সন্ত্রাসের জোরে যে টিকে থাকা
যায় না, তা বারবার প্রমাণ হয়েছে। তাই নির্বাচন যাতে কারও প্রাণ
কেড়ে না নেয়, সে দিকে লক্ষ্য রাখা উচিত সব দলেরই।’’

সিপিএমের রাজ্য কমিটির সদস্য পার্থ মুখোপাধ্যায়ের অভিযোগ, ‘‘তৃণমূল ও সন্ত্রাস সমার্থক হয়ে উঠেছে। ওরা ক্ষমতায় আসার পরে আমাদের দলের কয়েকশো নেতা-কর্মী আক্রান্ত হয়েছেন ও অনেকের মৃত্যু হয়েছে।’’ সন্ত্রাসমুক্ত নির্বাচনের লক্ষ্যে সাধারণ মানুষকে প্রতিরোধে নামার আবেদন জানান তিনি। বিজেপির আসানসোল সাংগঠনিক জেলার অন্যতম সাধারণ সম্পাদক শ্রীদীপ চক্রবর্তীর আবার দাবি, ৩৪ বছর বাম ও ১২ বছর তৃণমূলের শাসনে সন্ত্রাসের চরিত্র একই রকম।

তৃণমূলের পশ্চিম বর্ধমান জেলা সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর
পাল্টা বক্তব্য, ‘‘বাম জমানায় নজিরবিহীন সন্ত্রাস চালানো হয়েছে বিরোধীদের উপরে। তৃণমূল
ক্ষমতায় আসার পরে মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক যোগ্যতায় এমন ঘটনা আর ঘটে না। বিরোধীদের প্ররোচনায় বিভ্রান্ত না হওয়ার আবেদন জানাই মানুষকে।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Lok Sabha Election 2024 Bardhaman

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy