—প্রতীকী চিত্র।
মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিলেন বারাসত লোকসভা কেন্দ্রের নির্দল প্রার্থী কাকলি ঘোষ। কাকলি এবং তাঁর স্বামী সঞ্জীবকে অপহরণের অভিযোগ উঠেছিল বুধবার সকালে। বিকেলেই প্রার্থী হাজির হন বারাসতে জেলাশাসকের অফিসে। সেখানে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন। দাবি করেন, কেউ তাঁদের অপহরণ করেনি। তিনি নিজের ইচ্ছায় মনোনয়ন প্রত্যাহার করলেন।
মঙ্গলবারই মনোনয়ন জমা করেছিলেন হাবড়ার বামিহাটি এলাকার বাসিন্দা, বছর চৌত্রিশের কাকলি। বুধবার সকালে কাকলির প্রস্তাবক দিলীপ দাস অভিযোগ তোলেন, মঙ্গলবার রাত ২টো নাগাদ বাইকে করে দুষ্কৃতীরা এসে বাপের বাড়ি থেকে কাকলিকে তুলে নিয়ে যায় তাঁর শ্বশুরবাড়ি বামিহাটিতে। সেখানে তাঁর স্বামীকেও তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। দিলীপ হাবড়া থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। পুলিশ অপহরণের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করে।
বুধবার অবশ্য কাকলি নিজেই জানান, তাঁকে অপহরণ করা হয়নি। মনোনয়ন জমা করার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কেন তিনি তা প্রত্যাহার করলেন, তা নিয়ে মুখে কুলুপ কাকলি ও তাঁর স্বামীর। পরিবারের দাবি, তাঁরা কেউ সক্রিয় রাজনীতি করেন না। রাতে কিছু বাইরের লোক এসেছিল বাড়িতে। তারা কাকলি ও তাঁর স্বামীকে মঙ্গলবার রাতে তুলে নিয়ে যায়। বিকেলে তাঁরা ফিরেও এসেছেন। এর বাইরে কিছু জানা নেই। কাকলির ছেলে সত্যজিতের কথায়, ‘‘রাতে ঘুমিয়ে ছিলাম। কী হয়েছিল জানি না।’’
তবে এই ঘটনায় তৃণমূলের চক্রান্ত থাকতে পারে বলে অভিযোগ তুলছে বিজেপি। বারাসতের বিজেপি প্রার্থী স্বপন মজুমদার বুধবার বলেন, ‘‘তৃণমূল মানে সন্ত্রাস, তা আরও এক বার প্রমাণিত হল। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় যে কেউ ভোটে দাঁড়াতে পারেন। আমি খবর পেয়েছি, তৃণমূলের গুন্ডারা এই কাজে যুক্ত।’’ বারাসত লোকসভা কেন্দ্রের ফরওয়ার্ড ব্লক প্রার্থী সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আমি জানি না তাঁকে কে অপহরণ করেছে। এ সব দেখে মনে হচ্ছে, পুলিশ-প্রশাসন, নির্বাচন কমিশন বলে কিছু নেই।’’
কাকলির মনোনয়ন জমা দেওয়ার পিছনে বিজেপির মদত আছে বলে তৃণমূলের একাংশের দাবি। হাবড়ার পুরপ্রধান তৃণমূলের নারায়ণচন্দ্র সাহা বলেন, ‘‘এক জন মহিলা নির্দল প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন। আবার স্বেচ্ছায় তা তুলেও নিয়েছেন। এর মধ্যে তৃণমূল কোথায়! অপহরণের ঘটনা বিজেপির সাজানো নাটক।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy