—প্রতীকী চিত্র।
লোকসভা ভোটের মধ্যে দলের নিষ্ক্রিয়দের যেমন সক্রিয় করার চেষ্টা চলছে। তেমনি দল থেকে বেরিয়ে যাওয়া নেতা-কর্মীদেরও ফেরানোর প্রক্রিয়া চলছে তৃণমূলে। এবার শান্তিপুর এবং হাঁসখালি ব্লকেও নির্দলদের দলে ফেরানো হল।
লোকসভা ভোটের মুখে সংগঠন গোছানোর কাজে হাত দিয়েছে তৃণমূল। পঞ্চায়েত ভোটে জায়গায় জায়গায় গোষ্ঠীকোন্দল দেখা গিয়েছে। টিকিট না পেয়ে নির্দল প্রার্থী হয়ে দাঁড়ানোর ঘটনাও ঘটেছে। একাধিক জায়গায় বহিষ্কারের পথে হাঁটতে হয় তৃণমূল নেতৃত্বকে। এবার সেই বহিষ্কৃতদের দলে ফেরানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
এর আগে রানাঘাট-১ ব্লকে বহিষ্কৃত নির্দলদের দলে ফেরানো হয়েছিল। বুধবার শান্তিপুর ব্লকের গয়েশপুরে নির্দল কর্মী-সমর্থকদের দলে ফেরানো হল। ওই এলাকায় পঞ্চায়েতের টিকিট বণ্টন নিয়ে যাঁরা অসন্তোষের জেরে বিক্ষুব্ধ হয়ে নিষ্ক্রিয় হয়ে বসে গিয়েছিলেন তাঁদের দলে ফেরানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার দলে ফিরলেন বাদকুল্লা-২ পঞ্চায়েতের নির্দল সদস্যেরা। হাঁসখালি ব্লকের বাদকুল্লা-২ পঞ্চায়েতের ২২টি আসনের মধ্যে ৮টি আসনে জয়ী হয় তৃণমূল। ৭ টি আসনে বিজেপি এবং ৫ টি আসনে জয়ী হয় নির্দল প্রার্থী। দুটি আসনে জয়ী হয় সিপিএম। পাঁচ নির্দলের মধ্যে চারজন ছিলেন তৃণমূলের বিক্ষুব্ধ এবং একজন বিজেপির বিক্ষুব্ধ।
বোর্ড গঠনের সময় তৃণমূলের দিকে আসে ১২টি ভোট এবং বিজেপির দিকে আসে ৮টি ভোট। ভোটদানে বিরত থাকেন দুই সিপিএম সদস্য। পঞ্চায়েতের প্রধান হন গোবিন্দ সরকার এবং উপপ্রধান হন সবিতা বিশ্বাস। পরে উপ সমিতি গঠনের সময় অবশ্য তৃণমূল সদস্যদের অনুপস্থিতির সুযোগে উপ-সমিতিগুলি দখল করে নেয় বিজেপি। এবার সেই নির্দল সদস্যদের দলে ফেরানো হল।
বৃহস্পতিবার রানাঘাটে দলীয় এক কর্মসূচিতে তাঁরা যোগদান করেন তৃণমূলে। যদিও এই যোগদানের পরেও বাদকুল্লা-২ পঞ্চায়েতের তৃণমূলের যুযুধান দুই শিবিরের মধ্যে দূরত্ব কমবে নাকি গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের সমীকরণের জটিলতা বাড়বে সেই প্রশ্ন থেকেই গেল। তৃণমূলের রানাঘাট সংগঠনিক জেলা সভাপতি দেবাশীষ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘‘এদিন বাদকুল্লার নির্দল সদস্যেরা আমাদের দলে যোগ দিয়েছেন। এতে সংগঠন আরও শক্তিশালী হবে। সোকসভা ভোটে সকলেই একসঙ্গে দলীয় প্রার্থীর জন্য কাজ করবেন।"
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy