E-Paper

পথে হয়রানির আশঙ্কা আজ, আগের দিনই রওনা বহু কর্মী-সমর্থকের

দক্ষিণ ২৪ পরগনার বোদরা, চন্দনেশ্বর, শাঁকশহর, ভাঙড়-সহ বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রায় ৪০০ বাস এবং ছোট-বড় কয়েকশো গাড়ি ওই পথেই ব্রিগেড যাবে।

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ১০ মার্চ ২০২৪ ০৮:১৫
শনিবার বিকেলে ক্যানিং থেকে ট্রেনে চেপে ব্রিগেডের পথে বাসন্তীর তৃণমূল কর্মীরা।

শনিবার বিকেলে ক্যানিং থেকে ট্রেনে চেপে ব্রিগেডের পথে বাসন্তীর তৃণমূল কর্মীরা। ছবি: প্রসেনজিৎ সাহা।

তৃণমূলের ব্রিগেড সমাবেশ উপলক্ষে আজ, রবিবার পথে বেরিয়ে হয়রান হতে পারেন যাত্রীরা। সূত্রের খবর, শনিবারই বিভিন্ন রুটের বহু বাস তুলে নেওয়া হয়েছে। রবিবার সাধারণ যাত্রীদের জন্য রাস্তায় গাড়ি-বাস থাকবে কম। প্রশাসন অবশ্য জানিয়েছে, সাধারণ মানুষ যাতে সমস্যায় না পড়েন, তা দেখতে এবং রাস্তাঘাট যানযট মুক্ত রাখতে সব রকম ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

সন্দেশখালি বিধানসভা এলাকা থেকে এক লক্ষ মানুষ জনগর্জন সভায় যাবেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বিধায়ক সুকুমার মাহাতো। তিনি জানান, প্রায় দেড়শো বাস ও গাড়ি ভাড়া করা হয়েছে। বসিরহাট মহকুমার অন্য এলাকা থেকেও কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে যেতে বাস-গাড়ি ভাড়া করা হয়েছে।

দুই জেলার বহু কর্মী-সমর্থক ব্রিগেড যাবেন বাসন্তী হাইওয়ে ধরে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার বোদরা, চন্দনেশ্বর, শাঁকশহর, ভাঙড়-সহ বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রায় ৪০০ বাস এবং ছোট-বড় কয়েকশো গাড়ি ওই পথেই ব্রিগেড যাবে। ফলে বাসন্তী হাইওয়ে যানজটমুক্ত রাখতে ও যাত্রী হয়রানি কমাতে নানা পদক্ষেপ করছে পুলিশ। ভাঙড় ট্রাফিক গার্ডের ওসি মিদ্দা ইমামউদ্দিন বলেন, “মিছিলের গাড়ির কারণে যাতে যানজট না হয়, সে জন্য সমস্ত সিগন্যাল সবুজ রাখা হবে। গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলিতে গার্ডরেল লাগানো হচ্ছে। প্রত্যেকটি ট্রাফিক সিগন্যালে পর্যাপ্ত পুলিশকর্মী থাকবেন।” ২১৩ রুটের বাস ইউনিয়নের সভাপতি ইয়াদ আলি মোল্লা বলেন, “২১৩ রুটে প্রায় ৫০টি বাস প্রতি দিন চলাচল করে। ব্রিগেড সমাবেশ উপলক্ষে ২০টির বেশি বাস তুলে নেওয়া হয়েছে। তবে যাত্রীদের যাতে হয়রানি না হয়, সে জন্য সব রকম ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।” ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক সওকাত মোল্লা বলেন, “ভাঙড় ও ক্যানিং পূর্ব বিধানসভা এলাকা থেকে ২৫-৩০ হাজার মানুষ ব্রিগেডে যাবেন।” বারুইপুর পুলিশ জেলার তরফেও যান নিয়ন্ত্রণে বিশেষ পদক্ষেপ করা হচ্ছে। রবিবার সকাল থেকেই বিভিন্ন রাস্তায় ট্রাফিক পুলিশ, সিভিক ভলান্টিয়ার ও অন্যান্য পুলিশকর্মী দিয়ে যান নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

দুই জেলার বেশ কিছু এলাকা থেকে শনিবারই রওনা দিয়েছেন বহু মানুষ। সুন্দরবনের গোসাবা, বাসন্তী থেকে কয়েক হাজার কর্মী-সমর্থক এ দিন ব্রিগেডের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। দলীয় সূত্রের খবর, ট্রেনে কলকাতা গিয়ে নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে
রাত কাটাবেন তাঁরা। বাসন্তীর তৃণমূল নেতা রাজা গাজি বলেন, “এই ব্লক থেকে অন্তত সতেরো হাজার কর্মী ব্রিগেডে যাবেন। মানুষের হয়রানি কমাতে এবং দলীয় কর্মীরা যাতে ভাল ভাবে ব্রিগেডে পৌঁছতে পারে, তাই এক দিন আগেই তাঁদের নিয়ে রওনা দিলাম।”

সাগর, পাথরপ্রতিমা-সহ সুন্দরবন সাংগঠনিক জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকেও শনিবার ব্রিগেডের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন বহু মানুষ। তৃণমূলের সুন্দরবন সাংগঠনিক জেলার যুব সভাপতি বাপি হালদার বলেন, “সাংগঠনিক জেলা এক লক্ষের কাছাকাছি কর্মী-সমর্থক ব্রিগেডে যাবেন।”

এ দিকে, যশোর রোডে যানজটের কথা ভেবে বনগাঁ-সহ আশেপাশের এলাকা থেকে বেশিরভাগ কর্মী-সমর্থককে ট্রেনেই নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা হয়েছে বলে তৃণমূল সূত্রের খবর। দলের নেতা প্রসেনজিৎ ঘোষ বলেন, “এই সাংগঠনিক জেলা থেকে প্রায় ২০ হাজার মানুষ জনগর্জন সভায় যাবেন। যশোর রোডে যানজটের কথা মাথায় রেখে ট্রেনে বেশিরভাগ কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে যাওয়া হবে।” তৃণমূল সূত্রের খবর, কোনও
রুটের সব বাস ভাড়া করা হয়নি মানুষের কথা ভেবে।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Lok Sabha Election 2024 Mamata Banerjee TMC

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy