বিধিসম্মত সতর্কীকরণটা শুরুতেই থাকুক। নারদ নিউজের ভিডিওর সত্যাসত্য বিচার আনন্দবাজার ওয়েবসাইট করেনি। ফলে দোষী-নির্দোষের বিচারের জায়গায় না পৌঁছেই আপাতত অভিযোগ আকারে যেটা বলা দরকার, নারদের দ্বিতীয় পর্যায়ের হুল আবার বিঁধল তৃণমূলের শতছিন্ন তাঁবুতে। শঙ্কুদেব পন্ডা এবং অপরূপা পোদ্দার আপাতত বুঝছেন দংশন-জ্বালা।
নন্দীগ্রামের প্রত্যন্ত গ্রামে বসে ইলিয়াস মহম্মদ নামে এর প্রৌঢ় কি সোমবার সন্ধ্যায় বড় দীর্ঘশ্বাস ফেললেন? মনে হল তাঁর, কয়েক বছরের মাথায় চাকাটা আশ্চর্যজনকভাবে ঘুরল, সম্পূর্ণ হল বৃত্ত! নন্দীগ্রামের তৎকালীন সি পি আই বিধায়ক ইলিয়াস মহম্মদ ঠিক একই ভাবে স্টিং অপারেশনের শিকার হয়েছিলেন। কয়েক হাজার টাকা ঘুষ নিতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। বিধিসম্মত সতর্কীকরণ ছিল তখনও, তবুও সত্যাসত্য নির্ধারণের আগে বিধায়ক পদে ইস্তফা দিয়ে রোগজর্জর জীবনের পথে পা বাড়িয়েছিলেন ওই নেতা। কারণ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে বিরোধী শিবির সোচ্চারে দাবী জানিয়েছিল ইস্তফা চাই। যে সংবাদিক সেই স্টিং অপারেশন চালিয়েছিলেন, পরে পুরস্কারও পান তিনি। তাঁর নাম শঙ্কুদেব পন্ডা।
এক স্টিং যদি পুরস্কার তুলে দেয় হাতে, অন্য স্টিং তবে কেন তিরস্কারের ব্যবস্থা করবে না ? এই সরল প্রশ্নটা কেউ করবে না? কেউ বলবে না, রাজা তোর কাপড় কোথায়? বিধিসম্মত সতর্কীকরণ রেখেই না হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy