ঝালদায় বিজেপি প্রার্থীর প্রচারে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। ছবি: প্রদীপ মাহাতো।
সভায় ভিড়ের প্রতিফলন সব সময়ে নির্বাচনের ফলে পড়ে না। এই আপ্তবাক্য মাথায় রেখেও কাশীপুরের শুক্রবার জোটের নির্বাচনী সভায় উপচে পড়া ভিড় দেখে যথেষ্ট উজ্জীবিত জোটের নেতারা।
শুক্রবার কাশীপুর ব্লক সদরের সেবাব্রতী সঙ্ঘের মাঠে সিপিএম ও কংগ্রেস জোটের নির্বাচনী সভা ছিল। কয়েকমাস আগেই এই মাঠেই সভা করে গিয়েছেন যুব তৃণমূলের সভাপতি তথা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। স্বভাবতই একই মাঠে সভা করে মাঠ ভরানোর তাগিদটা ছিল জোটের নেতাদের। এবং সভায় ভিড় দেখে তৃপ্তির হাসি হেসেছেন তাঁরা। পুলিশের হিসাবেই এ দিনের সভায় হাজার দশ-বারো লোক হয়েছিল।
তবে তৃণমূলের নেতাদের পাল্টা দাবি, সম্প্রতি রঙ্গিলাডি গ্রামের মাঠে মুখ্যমন্ত্রীর নির্বাচনী সভার ধারে-কাছে পৌঁছতে পারেনি এ দিনের জোটের সভা। আর সেবাব্রতী সঙ্ঘের মাঠে অভিষেকের সভাতে শুক্রবারের জোটের সভার থেকে অন্তত হাজার পাঁচেক লোক বেশি হয়েছিল বলে দাবি করেছে শাসকদল।
আজ শনিবার নির্বাচনী প্রচারের শেষদিন। ফলে প্রচারের শেষলগ্নে কাশীপুর দিনভর প্রচারের আঁচ পেয়েছে। এ দিন বেলা তিনটে নাগাদ কাশীপুরের এমএম কলেজ মাঠে নির্বাচনী সভা করেছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। জোটের সভাতে যে উপচে পড়া ভিড় হচ্ছে তার ইঙ্গিত মিলেছিল বিজেপির সভা চলাকালীন সময়ে। বিজেপির সভা চলাকালীন সময়েই মিছিল করে সেবাব্রতী সঙ্ঘের মাঠে ঢুকতে দেখা যায় কংগ্রেস ও সিপিএমের সমর্থকদের। সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে সিপিএমের রাজ্যসভার সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় সারদা থেকে শুরু করে হালফিলের নারদ কাণ্ডের প্রসঙ্গ তুলে শাসকদলকে তুলোধনা করেছেন। সভায় কংগ্রেস ও সিপিএমের কর্মীদের স্বতঃস্ফূর্ত ভিড় দেখে স্বভাবতই ঋতব্রতবাবু এই জোটকে তৃণমূলের দুর্নীতির বিরুদ্ধে মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত জোট বলে মন্তব্য করেন।
কাশীপুরের বিজেপি প্রার্থী কমলাকান্ত হাঁসদা ও পাশের বিধানসভা মানবাজারের প্রার্থী গৌরী সিং সর্দারের সমর্থনে সভা করেন কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী। তবে বিজেপির সভাতে প্রত্যাশিত ভিড় হয়নি। এমনকী সভায় ভিড় না হওয়াতে হেলিকপ্টার থেকে নেমে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে মঞ্চের পিছনে আধঘণ্টার মতো বসে থাকতে হয়েছে। তবে সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে স্মৃতি ইরানি ছত্রে ছত্রে তৃণমূল সরকারকে বিঁধেতে ছাড়েননি।
রাজ্যের উন্নয়ন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি-সহ বিভিন্ন বিষয় তুলে পাশের রাজ্য ঝাড়খণ্ডের বিজেপি শাসিত সরকারের সঙ্গে এই রাজ্যের তুলনা টানেন তিনি। রাজ্যের সার্বিক উন্নয়নের স্বার্থে বিজেপিকে তিনি সমর্থন জানানোর আর্জি জানান। স্মৃতির সঙ্গে ছিলেন দলের কেন্দ্রীয় নেতা সুধীর অগ্রবাল। ঝালদার হাটতলা ময়দানে তাঁরা সভা করেন। বাঘমুণ্ডি কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী জ্যোতির্ময় সিং মাহাতোর সমর্থনে তাঁরা প্রচার করেন। তবে এই সভায় ভাল ভিড় হয়েছিল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy