বিজেপি-র জাতীয় সাধারণ সম্পাদক অরুণ সিংহ সাংবাদিক বৈঠকে প্রার্থিতালিকা ঘোষণা করছেন। ছবি: ফেসবুক
ছোট্ট সাংবাদিক বৈঠক। প্রায় তারকাহীন তালিকা। অনুপস্থিত টলিতারকারা। অন্য ক্ষেত্রের বিখ্যাত মানুষদের নামও প্রায় নেই। নন্দীগ্রামে শুভেন্দু অধিকারী, ময়নায় অশোক ডিন্ডা আর ডেবরায় ভারতী ঘোষ, উল্লেখযোগ্য শুধু এই তিন কেন্দ্র। বিজেপি-র প্রথম পর্যায়ের প্রার্থিতালিকার সারমর্ম এমনই।
২৯৪ আসনের প্রার্থী ইতিমধ্যে ঘোষণা করে দিয়েছে তৃণমূল। যে টলিউড তারকারা তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন তাঁদের অনেককেই প্রার্থী করা হয়েছে। প্রার্থী হয়েছেন কাঞ্চন মল্লিক, রাজ চক্রবর্তী, সায়নী ঘোষ, জুন মাল্য থেকে শুরু করে বেশ কয়েকজন। উল্টোদিকে প্রথম পর্যায়ে বিজেপি-র তালিকা দেখলে যথেষ্টই সাদামাটা মনে হতে পারে।
বিধানসভা নির্বাচনের আগের কয়েক মাসে তৃণমূল থেকে বিজেপি-তে গিয়েছেন প্রথম সারির একাধিক নেতা। টলিতারকারাও প্রায় নিয়মিত ব্যবধানে যোগ দিয়েছেন। সেই টলিতারকাদের কাউকেই প্রথম পর্যায়ের প্রার্থী তালিকায় স্থান দিল না গেরুয়া শিবির। ঘোষিত তালিকায় রয়েছেন বিজেপি-র ৫৬ জন প্রার্থী, একজন আজসু-র প্রার্থী। বাকি তিনটি আসনে এখনও প্রার্থী বাছাইয়ের কাজ শেষ হয়নি।
শোনা যাচ্ছে, রবিবার মোদীর ব্রিগেডে হাজির থাকতে পারেন মিঠুন চক্রবর্তী। ‘মহাগুরু’ যদি বিজেপি-তে যোগ দেন, তাহলে তারকার ভিড় আরও বাড়বে। কিন্তু সকলে কি প্রার্থী হবেন? এর আগে একদিকে যেমন শুভেন্দু অধিকারী, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, বৈশালী ডালমিয়া, প্রবীর ঘোষালরা বিজেপি-তে গিয়েছেন, তেমনই যোগ দিয়েছেন যশ, হিরণ, রুদ্রনীল ঘোষ, পায়েল সরকার, শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়ের মতো খ্যাতনামা টলি তারকারাও। শেষ পর্যন্ত এঁদের মধ্যে কাদের স্থান হবে তালিকায়? সেই প্রশ্নটা যেন আরও একটু ইন্ধন পেল শনিবারের ঘোষণার পর।
তবে গেরুয়া শিবিরের সমর্থকরা বলছেন, ‘‘ওস্তাদের মার শেষ রাতে।’’ প্রথমেই আস্তিনের সব তাস বার করতে চাইছে না দল। ধীরে ধীরে পরিস্থিতি বুঝে চূড়ান্ত পদক্ষেপ করতে চাইছে। সেই কারণেই এত আলোচনার পরেও প্রাথমিক ভাবে ৫৭ আসনের প্রার্থী ঘোষণা। এরপর ধীরে ধীরে প্রার্থিতালিকার চাকচিক্য বাড়বে। তখনই হয়ত অনেকেই এই তালিকায় জায়গা পাবেন। কিন্তু সেই আন্দাজ কতটা সত্যি, তা পূর্ণাঙ্গ তালিকা হাতে এলেই স্পষ্ট হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy