Advertisement
E-Paper

রিপোর্ট নিয়ে ব্যস্ততা বিধান ভবনে

ভোট-পর্ব মিটেছে। এখন গণনার অপেক্ষা। কিন্তু বিধান ভবন এখনও সরগরম! সারা রাজ্যে ভোট কেমন হয়েছে এবং ভোট-পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে দিল্লিতে রিপোর্ট পাঠাতে হবে। হাতে সময় কম। কাল, বৃহস্পতিবারই দিল্লিতে রাহুল গাঁধীর কাছে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর রিপোর্ট দেওয়ার কথা।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১১ মে ২০১৬ ০৩:৫২

ভোট-পর্ব মিটেছে। এখন গণনার অপেক্ষা। কিন্তু বিধান ভবন এখনও সরগরম!

সারা রাজ্যে ভোট কেমন হয়েছে এবং ভোট-পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে দিল্লিতে রিপোর্ট পাঠাতে হবে। হাতে সময় কম। কাল, বৃহস্পতিবারই দিল্লিতে রাহুল গাঁধীর কাছে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর রিপোর্ট দেওয়ার কথা। সব জেলা কংগ্রেস সভাপতি এবং দলের প্রার্থীদের আলাদা করে রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই রিপোর্ট যাতে সময় মতো এসে পৌঁছয়, তা নিয়েই প্রদেশ কংগ্রেস দফতরে তৎপরতা তুঙ্গে।

শাসক দলের দফতর তৃণমূল ভবন থেকে কালীঘাটে দলনেত্রীর বাড়িতে পুজো-আচ্চা, জ্যোতিষী-পুরোহিতদের আনাগোনা বেড়েছে। কিন্তু আলিমুদ্দিন স্ট্রিট বা লালমোহন ভট্টাচার্য লেনের বিধান ভবনে চলছে পুরোদস্তুর রাজনৈতিক তৎরপতা। এ বার বামেদের সঙ্গে আসন সমঝোতার পরে কংগ্রেস হাইকম্যান্ড বাংলার পরিস্থিতি জানার ব্যাপারে বিশেষ আগ্রহী। আর সেই কারণেই জেলা ও কেন্দ্রভিত্তিক রিপোর্ট সময় মতো জোগাড় করতে প্রদেশ কংগ্রেসের সহ-সভাপতি দেবব্রত বসু বা সম্পাদক দীপঙ্কর সাহু সংশ্লিষ্ট নেতাদের তাগাদা দিতে ব্যস্ত। মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত প্রায় ৬৫% রিপোর্ট তাঁদের হাতে এসে গিয়েছে বলে জানিয়েছেন দীপঙ্কর।

অধীর দিল্লিতে। বিধানসভায় কংগ্রেসের ঘরে বসে নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন মানস ভুঁইয়া। তাঁর কথায়, ‘‘খোঁজ নিচ্ছি কোথায় কোথায় আমাদের দলের কর্মী বা আমাদের সঙ্গে কাজ করতে গিয়ে বাম কর্মী-নেতাদের বাড়ি ভাঙচুর, আগুন লাগানো হচ্ছে বা সামাজিক বয়কট করা হচ্ছে। বিহিত করার জন্য জেলাশাসক, পুলিশ সুপারদের পাশাপাশি কমিশনকেও জানাচ্ছি। কারণ, ১৯ মে পর্যন্ত রাজ্যের সব কিছুই কমিশনের আওতায় থাকছে।’’ আর এক নেতা সোমেন মিত্র রাজাবাজারে তাঁর দফতরে সপার্ষদ ভোটের পর্যালোচনায় ব্যস্ত। কেমন হবে ভোটের ফল? প্রবীণ নেতার সতর্ক জবাব, ‘‘আশা তো করছি, ভালই হবে!’’

কলকাতায় এ দিনই বিনানি ভবনে ভোট গণনা নিয়ে বিজেপি-র প্রশিক্ষণ শিবিরে দলের প্রার্থী, তাঁদের মুখ্য নির্বাচনী এজেন্ট এবং সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত নেতাদের বলে দেওয়া হয়েছে, ভোট-পর্বের অভিজ্ঞতা নিয়ে যাঁর যা বলার আছে, বন্ধ খামে জমা দিতে হবে। প্রকাশ্যে আলোচনা হলে ক্ষোভের বিস্ফোরণ ঘটে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে আশঙ্কা করেই রাজ্য নেতৃত্বের এমন সিদ্ধান্ত।

assembly election 2016 Congress
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy