নির্বাচন যতই এগিয়ে আসছে, ততই গরম হয়ে উঠছে ভোটের বাজার। জমে উঠেছে ভোটের প্রচারও। এক চিলতে জমি ছাড়তে নারাজ কোনও পক্ষই। সপ্তাহের ব্যস্ত দিনগুলিতেও প্রার্থীরা পৌঁছে যাচ্ছেন ভোটারদের বাড়ির দোরগোড়ায়। মঙ্গলবার সকালেও ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচার শুরু করে দিয়েছেন বিভিন্ন দলের প্রার্থীরা। বেলেঘাটার কংগ্রেস সমর্থিত বাম প্রার্থী রাজীব বিশ্বাস এ দিন সকাল থেকেই ভোটের প্রচারে বেরিয়ে পড়েছিলেন। প্রচারে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকেও এ দিন একহাত নেন রাজীবাবু। তিনি বলেন,‘এ রাজ্য থেকে শিল্প তো অনেক আগেই চলে গিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী তেলেভাজা শিল্পের আমদানি ঘটিয়েছেন বাংলায়। আর এখন তেলেভাজা শিল্প তোলাবাজি শিল্পতে পরিণত হয়েছে।’
রাজীববাবুর প্রচারে অনুগামীদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মত। বাম সমর্থকদের পাশাপাশি প্রার্থীর হয়ে প্রচারে হাজির ছিলেন কংগ্রেস কর্মীরাও। রাজীব বিশ্বাসের জন্য ভোট চেয়ে বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা প্রকাশ উপাধ্যায় এ দিন মিছিলে পা মেলান। বেলেঘাটার প্রার্থী রাজীব বিশ্বাস আরও বলেন, ‘রাজ্যে জঙ্গলরাজ খতম করতে হবে। এখানে মানুষের জন্য জোট হয়েছে। কংগ্রেস নেতা প্রকাশ উপাধ্যায়কে ক্যাপ্টেন করে আমরা এগোচ্ছি’। প্রকাশ উপাধ্যায় বলেন, ‘দলের একনিষ্ঠ কর্মী আমি। দলের আদেশ মেনে চলি। এই জোট আমরা করিনি। মানুষ চেয়েছে। আমরা এখানে এগিয়ে রয়েছি। মানুষই জোট করেছে।’ নারদ-কাণ্ড যে ভোটের বাজারে জোট সমর্থকদের বাড়তি অক্সিজেন দিচ্ছে তা বলাই বাহুল্য। প্রচারের প্রধান ইস্যুই ছিল রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা এবং দুর্নীতি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy