ফাইল চিত্র।
নববর্ষের সকালে নবদ্বীপের পথে কৃষ্ণনাম করে হাঁটতে বেরিয়ে পড়লেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। মতিরায় বাঁধ রোড ধরে কীর্তন করতে করতে ফাঁসিতলা গঙ্গার ঘাটে গিয়ে চায়ের দোকানে ‘চর্চা’।
বুধবার বেশি রাতে প্রচার সেরে নবদ্বীপে চলে আসেন দিলীপ। নবদ্বীপ স্টেশন লাগোয়া একটি হোটেলে রাত কাটিয়ে সকাল ছটায় ‘প্রাতর্ভ্রমণ’ শুরু। কু-কথার জন্য বারবার সংবাদ শিরোনামে আসা দিলীপ দাবি করেন, “নতুন বছরে বাংলায় নতুন সরকার আসবে। হিংসা, কটু কথার রাজনীতি বন্ধ করতে চাই।”
সকাল সাড়ে ৭টা নাগাদ এই পর্ব সাঙ্গ করে হোটেলে যান দিলীপ। পরে বেরিয়ে পড়েন গঙ্গার পূর্ব পারে মুকুন্দপুর থেকে স্বরূপগঞ্জ পর্যন্ত রোড শো করে পথসভা করেন। সেখানে তাঁর দাবি, “বাংলা এবার সাদা শাড়ি নয় সাদা দাড়িকে চাইছে।... দশ বছর কিছু করতে পারেননি। তাই এখন ভাঙা পা দেখিয়ে ভোট চাইছেন।” ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচির কথা তুলে তাঁর কটাক্ষ, “এখন বলছে, দিদিকে ঠেলো। যিনি নিজে দাঁড়াতে পারেন না, তিনি নাকি বাংলার লোককে দাঁড় করিয়ে দেবেন!”
বৃহস্পতিবার কৃষ্ণনগর দক্ষিণ, কালীগঞ্জ ও পলাশিপাড়ায় একাধিক রোড শো ও সভা করেন দিলীপ। তখনও তাঁর প্রচারে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়নি। বছরের প্রথম দিনে কোথাওই তেমন ভিড় হয়নি তাঁকে ঘিরে। শীতলখুচি প্রসঙ্গে তাঁর বক্তব্য নিয়ে যাবতীয় সমালোচনা উড়িয়ে দিলীপের দাবি, “আমার মনে হয়েছে ওখানে আইনশৃঙ্খলার সমস্যা তৈরি করা হয়েছে। তিন দিন আগে ওখানেই আমার উপর আক্রমণ হয়েছে। বলেছি, যারা এমন ঘটনা ঘটাচ্ছে তারা যোগ্য জবাব পাবে।” বিকেলে আবার পলাশিপাড়া কেন্দ্রে বিজয়নগর সূর্য সেন ফুটবল ময়দানে শীতলখুচিতে গুলিতে চার জনের মৃত্যু প্রসঙ্গে তিনি দাবি করেন, “যারা মারা গিয়েছে, তারা ওই বুথের ভোটার ছিল না। অন্য বুথ থেকে এসে ভোট করাতে চেয়েছিল।” পুলিশের প্রসঙ্গ তুলে তাঁর দাবি, আগামী দিনে স্বাধীনতা সংগ্রামী মাতঙ্গিনী হাজরারর নামে গড়া হবে তিনটি বাহিনী, যারা মহিলাদের নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy