প্রতিবাদে পথে বিজেপি।
আত্মহত্যা না খুন, দিনহাটায় বিজেপি কর্মীর রহস্যমৃত্যু নিয়ে টানাপড়েন চলছেই। সেই পরিস্থিতিতে তদন্তের রিপোর্ট খতিয়ে দেখতে কোচবিহার আসছেন রাজ্য পুলিশের বিশেষ পর্যবেক্ষক বিবেক দুবে। শুক্রবারই কোচবিহার পৌঁছনোর কথা তাঁর। তদন্তকারী আধিকারিকদের সঙ্গে বিকেল ৩টে নাগাদ বৈঠকও করার কথা। দিনহাটায় যে পশু হাসপাতালের বারান্দা থেকে ঝুলন্ত দেহটি উদ্ধার হয়, সেখানেও যাওয়ার কথা রয়েছে তাঁর। সেখানে বিবেকের সঙ্গে দেখা করতে পারেন বিজেপি-র কয়েক জন প্রতিনিধিও।
মৃত ওই বিজেপি কর্মীর নাম অমিত সরকার। বিজেপি-র মণ্ডল সভাপতি ছিলেন তিনি। গত বুধবার সকালে পশু হাসপাতালের বারান্দা থেকে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। ইতিমধ্যে তাঁর একটি সুইসাইড নোটও সামনে এসেছে। তবে ভোটের আগে দলীয় কর্মীর মৃত্যুর পিছনে রহস্যের গন্ধ পাচ্ছে গেরুয়া শিবির। তৃণমূলের গুন্ডারা তাঁকে খুন করেছে বলে অভিযোগ করছে তারা। জোড়াফুল শিবির যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে। দুই দলই নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি তুলছে।
দিনহাটা-কাণ্ডে ইতিমধ্যেই কোচবিহারের পুলিশ সুপার কে কান্ননকে বদলি করা হয়েছে। তাঁর জায়গায় আনা হয়েছে দেবাশিস ধরকে। যদিও কান্ননের নার্কোটিক পরীক্ষা হওয়া প্রয়োজন বলে এখনও নিজেদের দাবিতে অনড় বিজেপি। সুইসাইড নোটে যাঁদের নাম উল্লেখ রয়েছে, অমিতের মৃত্যুতে তাঁদের ভূমিকা খতিয়ে দেখার দাবি তুলেছে তারা। আদৌ আত্মহত্যা করেছেন কি না অমিত, যদি করে থাকেন, তা হলে কে প্ররোচনা জোগাল, তা-ও তদন্ত করে দেখার দাবি তুলেছে গেরুয়া শিবির।
বিজেপি-র জাতীয় পরিষদীয় সদস্য নিত্যানন্দ মুন্সী বলেন,‘‘প্রথম দফায় নির্বাচনের জন্য জেলা থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনী অন্যত্র চলে যাওয়ায়, সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে তৃণমূলের আশ্রিত দুষ্কৃতীরা সন্ত্রাস তৈরি করছে। দলীয় কার্যালয়ে ভাঙছে। বিজেপি কর্মীদের উপর আক্রমণ হচ্ছে। আমাদের কর্মীদের খুন করছে। এ সব বিষয় নিয়ে বিবেক দুবের কাছে লিখিত অভিযোগ জানাব আমরা।’’
অন্য দিকে, তৃণমূল নেতা তথা দিনহাটা তৃণমূল প্রার্থী উদয়ন গুহ বলেন, ‘‘যদি বিবেক দুবে আমাদের সঙ্গে কথা বলতে চান, তাহলে আমরা অবশ্যই কথা বলব। আমরাও চাই, সঠিক তদন্ত হোক। প্রয়োজনে সিআইডি তদন্ত করুক।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy