তেজস্বী যাদব। ফাইল চিত্র।
রবিবার কলকাতায় পা রেখেও ব্রিগেড সমাবেশ এড়িয়ে গেলেন লালুপ্রসাদ যাদবের পুত্র তেজস্বী যাদব। খাতা কলমে এখনও রাষ্ট্রীয় জনতা দলের প্রধান লালু হলেও, দলের হাল তাঁর কনিষ্ঠ পুত্রের হাতে দিয়েছেন বহু আগেই। তাই রাজনৈতিক জোট নিয়ে সিদ্ধান্ত নেন তেজস্বীই। ঠিক যেমন গত বছর নভেম্বর মাসে কংগ্রেস ছাড়াও সিপিএম ও সিপিআই (এমএল)-এর সঙ্গে জোট করে বিহারের নীতীশ কুমারের নেতৃত্বকে তুল্যমূল্য লড়াইয়ের মুখে ফেলে দিয়েছিলেন তিনি। রবিবার সকাল পর্যন্ত বামফ্রন্ট জানত ব্রিগেডে আসবেন আরজেডি-র প্রতিনিধিরা। কিন্তু বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই তাঁরা বুঝে যান, যে লালুর দলের প্রতিনিধিরা অনুপস্থিত থাকবেন ব্রিগেডে। দুপুর দেড়টা নাগাদ দমদম বিমানবন্দরে নামেন তেজস্বী। সেখান থেকেই দলীয় নেতার বাড়িতে যান তিনি। বিকেলে বেলেঘাটায় দলীয় কার্যালয়ে গিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন বিহার বিধানসভার বিরোধী দলনেতা।
সেখানেই এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানিয়ে দেন, পশ্চিমবঙ্গের ভোটে কোনও পক্ষের হয়ে লড়বে তাঁর দল তা আগামী ২-১ দিনের মধ্যেই জানা যাবে। যদিও, এতদিন পর্যন্ত ঠিক ছিল, বামেদের সঙ্গে হাত মিলিয়েই ভোটে লড়বে আরজেডি। জাতীয় রাজনীতিতে লালুর সঙ্গে বামেদের সখ্যর কথা সকলেরই জানা। এমনকি, বামেদের সমর্থনে অধুনা বিলুপ্ত বড়বাজার বিধানসভা কেন্দ্রের আরজেডি বিধায়ক ছিলেন মহম্মদ সোহরাব। তবে কেন বাম-কংগ্রেসের সঙ্গে জোট ভাঙার এমন সিদ্ধান্ত নিতে চলেছেন লালুপুত্র? তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
রাজনীতির কারবারিদের একাংশের অনুমান সোমবার কালীঘাট মন্দিরে পুজো দিতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করতে পারেন তিনি। আর এই সাক্ষাৎপর্ব সত্যি হলে, তৃণমূল-আরজে়ডি জোট হতেই পারে। কারণ বিজেপি-র অবাঙালি ভোট ভাঙতে লালুর দলকে কিছু আসন ছেড়ে দিতেই পারেন মমতা। তাই ব্রিগেড সমাবেশে দলের প্রতিনিধি না পাঠিয়ে মমতা-কেই জোটবার্তা দিয়েছেন তেজস্বী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy