প্রতিদ্বন্দ্বী মুকুলকে কটাক্ষ কৌশানীর। পাল্টা বিজেপি-রও।
বিনোদন জগৎ থেকে রাজনীতির হাতেখড়ি হয়েছে সবে। তার পরেই সরাসরি ভোটের ময়দানে তিনি। প্রতিপক্ষ আবার মুকুল রায়ের মতো দুঁদে রাজনীতিক। তবে তৃণমূল-ত্যাগী মুকুলকে ‘হেভিওয়েট’ প্রতিপক্ষ বলে মানতেই নারাজ কৃষ্ণনগর উত্তরের তৃণমূল প্রার্থী কৌশানী মুখোপাধ্যায়। শুক্রবার রানাঘাটে তৃণমূল নেতৃত্বদের সঙ্গে সাংবাদিক বৈঠকে হাজির হন অভিনেত্রী। সেখানে তিনি বলেন, ‘‘কখনও কোনও নির্বাচনে জয়লাভ করেননি মুকুল রায়। আমরা ওঁকে হেভিওয়েট প্রার্থী বলে মনেই করি না।’’
প্রার্থিতালিকায় নাম ওঠার পরই প্রচারে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন কৌশানী। ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে কৃষ্ণনগর উত্তর এবং দক্ষিণে প্রাপ্ত ভোটের নিরিখে বিজেপি যে হেতু এগিয়েছিল, তাই কোনও খামতি রাখতে চাইছেন না তিনি। কিন্তু রাজনীতির ময়দানে তাঁর ব্যক্তিগত জীবনও আলোচ্য বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুপ্রেরণায় তিনি জোড়াফুলে যোগ দিলেও, প্রেমিক বনি সেনগুপ্ত গিয়েছেন পদ্মশিবিরে। তবে নীলবাড়ির লড়াইয়ে তৃণমূলই জিতবে বলে আত্মবিশ্বাসী কৌশানী।
শুক্রবার কৌশানী বলেন, ‘‘আমাদের মুখ্যমন্ত্রী একসঙ্গে ২৯৪ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছেন। কিন্তু বিরোধীদের কাছে প্রার্থী এতই কম যে দিল্লি সাংসদদের বিধায়ক হিসেবে দাঁড় করাতে হয়েছে। একবারে নামও ঘোষণা করতে পারেনি। বারে বারে জানাতে হয়েছে।’’ মমতার নেতৃত্বে তৃণমূল বাংলা থেকে ‘বহিরাগত’দের বিতাড়িত করে ছাড়বেই বলেও মন্তব্য করেন কৌশানী। তৃতীয় বার বাংলার মানুষ মমতাকেই মুখ্যমন্ত্রীর আসনে বসাবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।
তবে কৌশানী মুকুলের ‘প্রোফাইল’ জানেন না বলেই এমন মন্তব্য করেছেন বলে পাল্টা আক্রমণ শানিয়েছেন রাজ্য বিজেপি-র সভাপতি প্রণব রায়। তিনি বলেন, ‘‘অবান্তর কথা। কৌশানীর উচিত গুগল করে মুকুল রায় সম্পর্কে জেনে নেওয়া। দেশের প্রাক্তন রেলমন্ত্রী এবং সর্ববৃহৎ রাজনৈতিক দলের সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি তিনি। বাংলার রাজনীতিতে তাঁর পরিচয় আরও বড়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy