দেশের প্রথম স্টার্টআপ সংস্থা চালু হয়েছিল ২০১১-তে। এক দশক পেরোতে না পেরোতেই ৬,৩৮৫টি স্টার্টআপ বন্ধ হয়েছে বলে জানাল কেন্দ্রীয় বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রক।
যদিও এত সংখ্যক স্টার্টআপ বন্ধ হয়ে যাওয়াটা অস্বাভাবিক নয়, দাবি কেন্দ্রের। শীতকালীন অধিবেশনের দ্বিতীয় দিনের প্রশ্নোত্তর পর্বে মন্ত্রকে তরফে এর ব্যাখাও দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন সমীক্ষা রিপোর্ট অনুযায়ী, অপ্রাসঙ্গিক ব্যবসায়িক মডেল বা বাজারের চাহিদা পূরণ করতে না পারলে তা বন্ধ হয়ে যাওয়াই স্বাভাবিক। পাশাপাশি বহু সংস্থাই বন্ধ হয়েছে যথেষ্ট পুঁজি সংগ্রহ করতে না পারায়।
হিসাব বলছে, গত দশ বছরে পশ্চিমবঙ্গের ২৩১টি উদ্যোগ বন্ধ হয়ে গিয়েছে। ওই তালিকায় প্রথমের দিকে রয়েছে মহারাষ্ট্র (১,২০০), কর্নাটক (৮৪৫), দিল্লি (৭৩৭), উত্তরপ্রদেশ (৫৯৮)।
আরও পড়ুন:
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নিত্যনতুন প্রযুক্তি এবং উদ্ভাবন ভাবনাকে সঠিক দিশা দেখাতে ২০১৬-তে কেন্দ্র চালু করে ‘স্টার্টআপ ইন্ডিয়া’। ওই বিভাগের অধীনে সমস্ত নতুন উদ্যোগকে অনুদান এবং অনুমোদনের জন্য সাহায্য করা হয়ে থাকে। ৩১ অক্টোবর, ২০২৫ অনুযায়ী, ১,৯৭,৬৯২টি স্টার্টআপ ওই বিভাগের অধীনে অনুমোদন আদায় করেছে। এ সমস্ত নতুন উদ্যোগ যাতে অনুদান পায়, সে জন্য ১০,০০০ কোটি টাকা বিনিয়োগও করা হয়েছে। বিনিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে স্মল ইন্ডাস্ট্রিজ় ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (সিডবি) এবং সিকিউরিটি অফ এক্সচেঞ্জ বোর্ড অফ ইন্ডিয়া (সেবি)।
কেন্দ্রের তরফে ফান্ড অফ ফান্ডস অফ স্টার্টআপস (এফএফএস), স্টার্টআপ ইন্ডিয়া সিড ফান্ড স্কিম (এসআইএসএফএস) এবং ক্রেডিট গ্যারান্টি স্কিম ফর স্টার্টআপ (সিজিএসএস) স্কিম-এর অধীনে সমস্ত লোন এবং অনুদান মঞ্জুর করা হয়ে থাকে।
তবে, কেন্দ্রের তরফে এ-ও জানানো হয়েছে, ৩১ অক্টোবর, ২০২৫ পর্যন্ত ৪,১৪৭টি স্টার্টআপ ‘সার্টিফিকেটস অফ এলিজিবিলিটি’ অর্জন করেছে। সেই সমস্ত সংস্থা থেকে ২১ লক্ষ ১১ হাজার চাকরি তৈরি হয়েছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, সাইবার নিরাপত্তা, ডিজ়িটাল পরিকাঠামোর দক্ষতা বৃদ্ধির আবহে নতুন উদ্যোগ চাকরির বাজারের রূপরেখা বদলানোর সম্ভাবনা বৃদ্ধি করে চলেছে, এমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞেরা।
যদিও বছরের শুরুতেই ১৫ জানুয়ারি বিশ্বের বৃহত্তম স্টার্টআপ তৈরির অনুকূল দেশ হিসাবে ভারতের নাম তৃতীয় স্থানে জায়গা পায়। বেঙ্গালুরু, হায়দরাবাদ, মুম্বই, দিল্লির মতো শহরগুলিকে নতুন উদ্যোগে ‘হাব’ হিসাবে চিহ্নিত করেছিল কেন্দ্র। সেই সময় স্টার্টআপ-এর সংখ্যা ছিল ১,৫৯,১৫৭টি। বছর শেষে সেই অঙ্ক ২ লক্ষের গণ্ডি পেরোতে পারে কি না সে দিকেই তাকিয়ে দেশ।