রেলে আসন্ন নিয়োগের পরীক্ষায় একাধিক সুরক্ষাবিধি জারি করা হবে। চলতি বছর জুলাই-অগস্টেই গ্রুপ ডি বিভাগে কর্মী নিয়োগের পরীক্ষা হতে চলেছে। সেই পরীক্ষায় নকল রুখতে কড়া ব্যবস্থা করছে রেল।
রেলওয়ে রিক্রুটমেন্ট বোর্ডের তরফে জানানো হয়েছে, পরীক্ষায় নকল রুখতে বায়োমেটিক সিকিয়োরিটির ব্যবস্থা করা হবে। পরীক্ষাকেন্দ্রেই আবেদনকারীদের তথ্যের সঙ্গে আধার কার্ডের ইলেক্ট্রনিক নো ইউর কাস্টোমার (ই-কেওয়াইসি)-র তথ্য মিলিয়ে দেখা হবে। তবেই চাকরিপ্রার্থী পরীক্ষা দেওয়ার অনুমতি পাবেন।
রেলের পরীক্ষায় এর আগে মোবাইল-সহ ভুয়ো পরীক্ষার্থীদের একাধিক দলকে হাতেনাতে পাকড়াও করা হয়েছে। তাই প্রযুক্তির সাহায্যেই সেই সমস্ত ভুয়ো পরীক্ষার্থীদের চিহ্নিত করতে পরীক্ষাকেন্দ্রে জ্যামার বসানো হবে। রেলওয়ে রিক্রুটমেন্ট বোর্ড জানিয়েছে, ইতিমধ্যেই দেশের ৭ হাজার পরীক্ষা কেন্দ্রে জ্যামার বসানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, বিগত কয়েক বছরে রেলের গ্রুপ ডি পরীক্ষায় নকল করার ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে একাধিক ব্যক্তিকে। অভিযোগ, রেলের পরীক্ষায় নকল পরীক্ষার্থী ‘ভাড়া’ করে নিয়ে আসা কিংবা পরীক্ষাকেন্দ্রে বসেই নকল করার চেষ্টা করেছে ধৃতেরা। কিছু কিছু ক্ষেত্রে ভুয়ো চাকরিপ্রার্থীরা অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে সুরক্ষাব্যবস্থাকেও ফাঁকি দিতে পেরেছে। সেই সমস্ত ঘটনা রুখতে ‘জ়িরো চিটিং কেসেস’-এর লক্ষ্যপূরণ করতে চায় রেল।
তবে, প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরো (পিআইবি)-র দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, নিরাপত্তাবিধি জোরদার করা ছাড়াও স্বচ্ছ ভাবে পরীক্ষার আয়োজনে তৎপর রেল। পরীক্ষার্থীদের, বিশেষ করে মহিলা এবং বিশেষ ভাবে সক্ষম প্রার্থীদের বাড়ির কাছাকাছি যাতে পরীক্ষাকেন্দ্রের ব্যবস্থা করা যায়, তার পরিকল্পনা করা হয়েছে। এ জন্য প্রয়োজনে আরও পরীক্ষাকেন্দ্র চালু করার ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ ছাড়াও রেলের তরফে ২০২৫-২০২৭ অর্থবর্ষে নতুন করে ৫০ হাজার শূন্যপদে কর্মী নিয়োগ করা হবে। এর আগে ২০২৪-এ ১ লক্ষ ০৮ হাজার ৩২৪টি শূন্যপদে কর্মী নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, সেই সমস্ত পদে নিয়োগের পরীক্ষা চলতি বছরেই নেওয়া হবে। চলতি বছরে এখনও পর্যন্ত ৯ হাজারের বেশি প্রার্থীকে নিয়োগের জন্য নিয়োগপত্র দেওয়ার কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে।