সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ এক সময় ‘দশটা-পাঁচটার চাকরি’ খুঁজতেন। আবার কেউ কেউ সেই গতানুগতিক চাকরিতেই হয়ে উঠতেন বিরক্ত। দিন যত গড়িয়েছে চাকরি ক্ষেত্রে কাজের সময় বেড়েছে। কোনও কোনও ক্ষেত্রে দিনে ১০ ঘণ্টা কাজও করতে হয়। ফলে বা়ড়ছে ক্লান্তি। কমছে সৃজনশীলতার অবসর। এই পরিস্থিতিতে অনেকেই চাইছেন বাড়িতে বসে কোনও কাজ করতে। আধুনিক পৃথিবী, সে সুযোগ দিচ্ছে সহজেই।
কিন্তু কী কাজ শুরু করবেন, কী কী সুযোগ রয়েছে— এ সব ভাবতে ভাবতেই দিন পেরিয়ে যাচ্ছে!
প্রযুক্তি নির্ভর যুগে বাড়ি বসেই বেশ কিছু কাজ শুরু করা যেতে পারে। অনেক সময় কোনও সংস্থার হয়ে ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’ পন্থায় চাকরি শুরু করা যেতে পারে। আবার, চাকরি করতে একেবারেই ইচ্ছা না করলে ছোট কিছু ব্যবসা শুরু করা যেতে পারে, কিংবা স্বাধীন ভাবেও (‘ফ্রিল্যান্সিং’) কাজ করার সুযোগ রয়েছে।
তবে, যে কোনও পেশাতেই নিযুক্ত হওয়ার আগে প্রয়োজন নিজের দক্ষতা সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা রাখা। কোন কাজটা নিখুঁত ভাবে করার ক্ষমতা নিজের মধ্যে রয়েছে, তা ভাল ভাবে বুঝেই পেশা নির্বাচন করা প্রয়োজন। পাশাপাশি ছোট ব্যবসা করতে হলে পুঁজি কতটা ব্যায় করা সম্ভব, সে বিষয়েও নজরে রাখতে হয়।
গুগল লিস্টিং—
প্রযুক্তিগত বিষয়ে পটু হলে এবং ওয়েবসাইট কী ভাবে তৈরি করা হয় জানা থাকলে ফ্রিল্যান্সার হিসাবে ‘গুগল লিস্টিং’-র কাজ শুরু করা যেতে পারে। বাড়িতে কম্পিউটার অথবা ল্যাপটপ এবং ইন্টারনেটের ব্যবস্থা থাকলেই এই কাজ শুরু করা সম্ভব। তবে সে ক্ষেত্রে সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন (এসইও) এবং ওয়েবসাইট ডিজ়াইনিং কাজে সম্পূর্ণ ভাবে দক্ষ হতে হবে।
আরও পড়ুন:
ডিজিটাল ক্রিয়েটর—
বর্তমানে বেশ জনপ্রিয় একটি পেশা। ‘জেন জ়ি’-র অনেকেই এখন ডিজিটাল ক্রিয়েটর। মুঠোফোনের নেট দুনিয়ার সাহায্যে কেউ খাবার নিয়ে, কেউ ভ্রমণ নিয়ে, আবার কেউ অন্য কোনও বিষয়ে ছোট-বড় ভিডিয়ো বানাচ্ছেন। যে ভিডিয়োগুলি সমাজমাধ্যমে ভাগও করছেন তাঁরা। আর তাতেই বেশ ভাল উপার্জন করছেন অনেকে।
গ্রাফিক ডিজ়াইনিং—
গ্রাফিক ডিজ়াইনিং-র কাজ জানা থাকলে ফ্রিল্যান্সার হিসাবেও কাজ করা যেতে পারে বাড়িতে বসেই। সে ক্ষেত্রে ডিজিটাল পদ্ধতিতে আঁকার দক্ষতা ব্যবহার করে অনলাইনে টি-শার্ট ডিজ়াইন, মোবাইলের কভার ডিজ়াইন করে বিক্রি করার মতো কাজের সুযোগও থাকে।
খাবারের হোম ডেলিভারি—
নারী পুরুষ নির্বিশেষে যদি ভাল রাঁধুনি হন, তা হলে নিজের ‘হোম ডেলিভারির’ ব্যবসা শুরু করা যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে স্বল্প খরচেই শুরু করা যেতে পারে এই ব্যবসা। এ ছাড়াও বর্তমানে ‘ক্লাউড কিচেন’-এর ব্যবসায় ঝুঁকছেন বহু মানুষ। সে ক্ষেত্রে ভারতের খাদ্য সুরক্ষা ও মান কর্তৃপক্ষ (ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ডস অথরিটি অফ ইন্ডিয়া) কর্তৃক ‘ফুড লাইসেন্স’ করতেই হয়। এ ছাড়াও ‘ট্রেড লাইসেন্স’-সহ আরও প্রয়োজনীয় নথি লাগে এই ব্যবসা করতে হলে।
এ ছাড়াও, শিক্ষকতা, ভিডিয়ো এডিটিং, ফটোগ্রাফির মতো পেশা নির্বাচন করার সুযোগ রয়েছে।