ফের রাজ্য জুড়ে শিক্ষকদের ডিআই অফিস অভিযান। এক দিকে, সেন্ট্রাল পার্কের সামনে অনশন অবস্থানে অনড় ‘যোগ্য’ শিক্ষকেরা। অন্য দিকে, সোমবার রাজ্যের সমস্ত ডিআই অফিসেই ডেপুটেশন জমা দেন তাঁরা। এই কর্মসূচির ডাক দিয়েছিল ‘যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকা অধিকার মঞ্চ’।
আন্দোলনরত শিক্ষক-শিক্ষিকাদের অভিযোগ, যাবতীয় গুরুত্বপূর্ণ নথি যাচাই থেকে শুরু করে ছুটি নির্ধারণ, সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ কাজের দায়িত্ব জেলা পরিদর্শক (ডিআই)-এর উপর ন্যস্ত থাকে। তাঁদের কাছে ২০১৬-র প্যানেলভুক্ত ‘যোগ্য’ শিক্ষক-শিক্ষিকাদের তালিকাও রয়েছে, যাঁরা চাকরিতে বহাল থাকতে পেরেছেন। অথচ, লাগাতার আন্দোলনের পরেও বিভিন্ন জেলায় স্কুলগুলি শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ছুটি নিয়ে একাধিক সমস্যার অজুহাত দিচ্ছে, কিছু ক্ষেত্রে হেনস্থার শিকার হচ্ছেন তাঁরা। এই বিষয়ে বার বার চিঠি দিয়েও অধরা সমাধান। তাই দ্বিতীয় দফায় ফের ডিআই অফিস অভিযানে ‘যোগ্য’ শিক্ষকেরা।
সোমবার চাকরিহারা শিক্ষকেরা ডিআই অফিসে যে ডেপুটেশন জমা দিয়েছেন, তাতে বলা হয়েছে, ডিআই অফিসের নির্দেশ অনুযায়ী, যাঁরা এখনও চাকরিতে বহাল রয়েছেন এবং বেতন পাচ্ছেন, দ্রুত সেই সমস্ত ‘যোগ্য’ শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সার্টিফায়েড লিস্ট প্রকাশ করতে হবে।
দ্বিতীয় দফায় ফের ডিআই অফিস অভিযানে ‘যোগ্য’ শিক্ষকেরা। নিজস্ব চিত্র।
এই বিষয়ে আন্দোলনকারী শিক্ষক অমিতরঞ্জন ভুঁইয়া বলেন, “নতুন করে আবেদনের পর কতজন চাকরি পাবেন, তা সুনিশ্চিত নয়। এ ছাড়াও আমরা বারংবার দাবি জানিয়েছি, ত্রুটিপূর্ণ নিয়োগ বিধি এবং বিজ্ঞপ্তি প্রত্যাহার করে রিভিউ পিটিশনের আগে নতুন করে শিক্ষক-শিক্ষিকা নিয়োগের আবেদন গ্রহণ বন্ধ করুক এসএসসি। তা ছাড়াও ওবিসি সংরক্ষণ সংক্রান্ত জটিলতার সমাধান হওয়ার আগে পর্যন্ত ফর্ম ফিলআপ করানো যাবে না।”
সোমবার পূর্বনির্ধারিত সময়েই বেলা ১২টা নাগাদ শুরু হয় কসবার ডিআই অফিস অভিযান। তবে, আগের বারের মতো কোনও প্রতিবাদ অবস্থান নয়, আন্দোলনের ঝাঁঝ বৃদ্ধি করতে রাজ্যের সমস্ত ডিআই অফিসেই ডেপুটেশন জমা দিয়েছেন ‘যোগ্য’ শিক্ষকেরা।
একই সঙ্গে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের একাংশ এও জানিয়েছেন, নতুন করে চাকরির পরীক্ষায় বসতে নারাজ তাঁরা। তাঁদের সসম্মানে স্কুলে ফেরানো হোক, এই দাবি জানিয়ে ইতিমধ্যেই শিক্ষামন্ত্রী-সহ বিভিন্ন আধিকারিকদের চিঠি পাঠিয়েছেন। সেই দাবিতেই ফের ডিআই অফিস অভিযানও করলেন তাঁরা।