‘যোগ্য’ শিক্ষক শিক্ষাকর্মীরা আর পরীক্ষা দেওয়ার মতো মানসিক অবস্থায় নেই বলে শিক্ষা দফতরের কাছে হাজারেরও বেশি মঞ্চ-র তরফে হাজারেরও বেশি চিঠি জমা পড়েছে চাকরিহারাদের। এমতাবস্থায় চাকরিহারাদের দাবি সরকার চাকরিহারাদের দাবি সুপ্রিমকোর্টে তুলে ধরুক।
শিক্ষা দফতর সূত্রের খবর, এখনও পর্যন্ত আলাদা আলাদা ক্ষেত্র থেকে প্রায় ৮৩টি রিভিউ পিটিশন জমা পড়েছে। সে ক্ষেত্রে ‘যোগ্য’ শিক্ষকদের দেওয়া চিঠিকেই সামনে রাখতে চাইছে সরকার। ২০১৮ সাল থেকে বহু শিক্ষকই স্কুলে শিক্ষকতা করছিলেন। বর্তমানে অনেকেই কেউ জটিল রোগে আক্রান্ত, আবার কোনও কোনও শিক্ষিকা অন্তঃসত্ত্বা। এ ছাড়াও বহু শিক্ষিক শারীরিক ভাবে বিশেষ ভাবে সক্ষম। তাঁদের কথা অনুযায়ী, তাঁরা কেউ এই মুহূর্তে আর নতুন করে পরীক্ষায় বসতে পারবেন না। তাই তাঁদের দাবি চিঠির মাধ্যমে বারংবার শিক্ষা দফতরের কাছে জমাও দিয়েছেন চাকরিহারা শিক্ষক শিক্ষিকারা। এ প্রসঙ্গে চাকরিহারা আন্দোলনের অন্যতম নেতা মেহবুব মণ্ডল বলেন, ‘‘আমরা চাই সরকার আমাদের চিঠিগুলো নিয়ে আমাদের রি-প্যানেলের ব্যবস্থা করুক। এবং রিভিউ পিটিশনেও আমাদের পরীক্ষা দেওয়ার অসুবিধার কথা তুলে ধরুক।’’
আরও পড়ুন:
প্রথমে এই চিঠি দেওয়ার কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছিল ‘যোগ্য’ শিক্ষক শিক্ষিকা অধিকার মঞ্চের তরফ থেকে । প্রথম দিন প্রিন্সিপ্যাল সেক্রেটারির কাছে শিক্ষামন্ত্রীর উদ্দেশ্যে কয়েকশো চিঠি জমা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু দ্বিতীয় দিনই অন্য শিক্ষকদের চিঠি জমা নিতে অস্বীকার করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। এর পরেই বিক্ষোভ দেখান শিক্ষক শিক্ষিকারা। পুনরায় বিকাশ ভবনের সামনে চিঠি জমা নেওয়া শুরু হয়। ইতিমধ্যেই প্রায় সাড়ে চার হাজারেরও বেশি চিঠি জমা পড়েছে অধিকার মঞ্চের কাছে। যা তারা দ্রুত শিক্ষা দফতরের কাছে জমা দেবে বলে জানা গিয়েছে।
অন্যদিকে ‘যোগ্য শিক্ষক শিক্ষিকা অধিকার মঞ্চ’-এর তরফে ৩০ জুন রাজ্য জুড়ে ডিআই অফিস অভিযানের ডাক দেওয়া হয়েছে। রিভিউ পিটিশনের আগে ফর্ম ফিলআপ নয়, এমনই দাবি চাকরিহারাদের। আজ দিনভর চাকরিহারাদের একটি অংশ প্রথমে রাজ্য কংগ্রেস সভাপতির সঙ্গে দেখা করেন বিধানভবনে। পরে সেখান থেকে তাঁরা রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে স্মারকলিপি জমা দেন। পাশপাশি অনশন মঞ্চে এখনও পর্যন্ত অনশন চালিয়ে যাচ্ছে তিনজন।