কিয়া। বয়স ১৫। স্পেশ্যাল চাইল্ড। চোখে চোখ রেখে কথা বলতে পারে না। দক্ষিণ কলকাতায় মায়ের সঙ্গে থাকে। কিয়ার একটা নিজস্ব জগত্ রয়েছে। যেখানে সকলেই প্রায় সত্যি কথা বলে। অঙ্ক আর মিউজিক মেয়ের ভালবাসা। বাবার কাছে ব্যোমকেশ, ফেলুদা পড়েছে। এ হেন কিয়া হঠাত্ই এক তদন্তে জড়িয়ে পড়ে।
কিয়ার দু’জন বন্ধু। প্রথম জন রবি। পেশায় রিকশাচালক। কিয়াকে স্কুলে নিয়ে যাওয়া এবং স্কুল থেকে নিয়ে আসা যাঁর কাজ। দ্বিতীয় জন শৌভিক। পেশায় শিক্ষক। স্কুলে তাঁর সঙ্গে কিয়ার আলাপ। পাশের বাড়ির বেড়াল কসমস ছিল কিয়ার আদুরে। সে ছিল সন্তানসম্ভবা। হঠাত্ই এক দিন কসমসকে কেউ খুন করে। আর তারই তদন্তে দুই বন্ধুর সাহায্য নিয়ে নেমে পড়ে কিয়া।
ঠিক এ ভাবেই নিজের প্রথম ফিচার ফিল্ম ‘কিয়া এবং কসমস’-এর গল্প ভেবেছেন সুদীপ্ত রায়। চিত্রনাট্যও তাঁর। পেশায় সাংবাদিক সুদীপ্ত এর আগে দু’টো শর্ট ফিল্ম তৈরি করলেও পূর্ণ দৈর্ঘ্যের ছবি এই প্রথম। ‘‘কসমস-কে কে মেরে ফেলল, সেটার তদন্ত করতে গিয়ে কিয়া অনেক আপেক্ষিক সত্যি জানতে পারে। তার পর বাবার খোঁজে একা একা কালিম্পংয়ে চলে যায়। এ ভাবে ভেবেছি। কলকাতা আর কালিম্পংয়ে শুটিং করেছি আমরা,’’ শেয়ার করলেন পরিচালক।