মধুবালার রূপে মুগ্ধ ছিল গোটা দেশ
রূপের ছটায় আজও তাঁকে টেক্কা দেওয়া কঠিন। অভিনয় তো বটেই, সৌন্দর্যেও তাই কালজয়ী হয়েই থেকে গিয়েছেন চল্লিশ থেকে ষাটের দশক কাঁপিয়ে দেওয়া মধুবালা। কিন্তু জানেন কি, সুন্দরী নায়িকাকে ঠিক কতখানি পুঙ্খানুপুঙ্খ চিনতেন তাঁর অনুরাগীরা? মধুবালার বোন মধুর ভূষণের এক সাক্ষাৎকারে বেরিয়ে এসেছিল তারই এক ঝলক।
মধুবালা তখন জনপ্রিয় নায়িকা। বোনেদের সঙ্গে সে দিন সিনেমা দেখতে গিয়েছিলেন এক প্রেক্ষাগৃহে। লোক জানাজানি হলে ভিড় জমে যাবে, ছবি আর দেখা হবে না। অগত্যা আমজনতার চোখে ধুলো দিতে বোরখায় আপাদমস্তক ঢেকে প্রেক্ষাগৃহের আসনে গিয়ে বসেছেন অভিনেত্রী। বিরতির সময়ে স্ন্যাক্স হিসেবে টুকিটাকি খাবার হাজির। এ দিকে, দাম নিতে আসছেন না কেউই। মধুরের কথায়, “শেষমেশ আমরা স্ন্যাক্স দিতে আসা লোকটিকেই পাকড়াও করলাম, আর সে যা বলল, তাতে আমাদের চক্ষু চড়কগাছ!”
কিন্তু কী বলেছিলেন খাবারদাবার নিয়ে আসা সেই ব্যক্তি? সাক্ষাৎকারে মধুর জানান, সেই ব্যক্তি সাফ বলেন, তাঁদের সঙ্গে স্বয়ং মধুবালা আছেন। তাই খাবারের দাম নেওয়া হবে না। মধুবালার বোন বলেন, “আমরা বললাম, কোথায় মধুবালা! আপনি ভুল করছেন! জবাব এল— ‘একেবারেই না! ওঁর পায়ের পাতা দুটো দেখতে পেয়েছি আমি। অত সুন্দর পা আর কারও হতেই পারে না!’ আমরাও আর কথা বাড়াতে পারিনি। সত্যিই তো, মধুবালার সৌন্দর্য ছিল অতুলনীয়!”
শিশু শিল্পী হিসেবে প্রথম বলিউডে পা রেখেছিলেন মধুবালা। কয়েক বছরের চড়াই-উতরাই পেরিয়ে নায়িকা হিসেবে আত্মপ্রকাশ ‘নীলকমল’ ছবিতে। নায়ক রাজ কপূরেরও সেটিই ছিল প্রথম ছবি। তার পরে আর ফিরে তাকাতে হয়নি। একের পর এক জনপ্রিয় ছবি, দিলীপ কুমারের সঙ্গে সাত বছরের দুরন্ত প্রেমকাহিনি, কিশোর কুমারের সঙ্গে প্রেম এবং পরবর্তীতে বিয়ে— সব পেরিয়ে ১৯৬৯ সালে মাত্র ছত্রিশ বছর বয়সে প্রয়াত হন মধুবালা। পাঁচ দশক পেরিয়েও অবশ্য কিংবদন্তি নায়িকার রূপমুগ্ধ ভক্তের সংখ্যাটা নেহাত কম নয়!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy