তাঁর সঙ্গীতের মূর্ছনায় ভেসে যান অনুরাগীরা। জিয়াগঞ্জ থেকে সঙ্গীতসফর শুরু হয়েছিল তাঁর। আজ আবিশ্ব ছড়িয়ে রয়েছেন তাঁর অনুরাগীরা। মাত্র ৩৮ বছর বয়সে অরিজিৎ সিংহ একটি প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছেন, এমনই মনে করেন অনেকে। কিন্তু শুরুর দিকে তাঁর সফর মসৃণ ছিল? একটি নির্দিষ্ট সঙ্গীতসংস্থা থেকে প্রত্যাখ্যাত হতে বসেছিলেন তিনি।
গানের একটি রিয়্যালিটি শো থেকে পরিচিতি পেতে শুরু করেছিলেন তিনি। তবে প্রথম জনপ্রিয়তা ও খ্যাতি পেয়েছিলেন ‘আশিকি ২’ ছবির গান গেয়ে। এই ছবির প্রতিটি গান শ্রোতাদের মধ্যে আলোড়ন ফেলে দিয়েছিল। অনেকেই বলেন, গানের জন্য এই ছবি আরও বেশি সফল হয়েছে। কিন্তু এই ছবির গান প্রায় হাতছাড়া হতে বসেছিল অরিজিতের। একটি সঙ্গীতসংস্থা অরিজিতের পরিবর্তে অন্য কোনও গায়ককে নেওয়ার কথাও ভাবতে শুরু করেছিল। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এই ঘটনা জানিয়েছেন পরিচালক মোহিত সুরি।
এ ছবির সঙ্গীত পরিচালনা করেছিলেন মিঠুন। শুধুমাত্র তাঁর জন্যই অরিজিৎ ওই গানগুলি গাওয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন। ঠিক কী ঘটেছিল? মোহিত বলেছেন, “আমার মনে আছে, এক দিন সঙ্গীত কোম্পানির কর্তা আমার এবং মিঠুনের উপর চিৎকার করতে শুরু করেন। তিনি চাইছিলেন, অরিজিৎ যেন চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। কিন্তু অরিজিৎ রাজি হয়নি। ও তখনও তেমন বিখ্যাত হয়নি। এটা জেনে সঙ্গীত কোম্পানির কর্তা অরিজিৎকে সরিয়ে অন্য কাউকে নিতে চেয়েছিলেন। আমরা তখন স্পষ্ট জানাই, অরিজিৎকে আমরা সরাচ্ছি না। ওকে সরালে আমরা আমাদের গানগুলি ফিরিয়ে নিচ্ছি।”
মোহিত জানিয়েছেন, অরিজিৎ এই ঘটনার কথা জানেন কি না তিনি অবগত নন। তবে এই ছবিতে গান গাইতে পারার জন্য মিঠুনকে ওঁর ধন্যবাদ জানানো উচিত। মোহিত বলেন, “আমি আমার সঙ্গীত পরিচালকের হয়ে লড়েছিলাম মাত্র। এটা সত্যি, এমন সঙ্গীত আমরা আগে তৈরি করিনি কখনও। অরিজিতের প্রতিভা ব্যবহার করতে চেয়েছিলেন ওই সঙ্গীত কোম্পানির মালিক। তাই তাঁকে চুক্তিবদ্ধ করতে চেয়েছিলেন।”