আমির খানকে নিয়ে অকপট ভাই ফয়জ়ল খান। ‘মেলা’ ছবিতে ফয়জ়ল কাজ করেন আমিরের সঙ্গে। পুরনো বিবাদের ক্ষত এখনও তাজা বলিউড থেকে হারিয়ে যাওয়া এই অভিনেতার মনে। সম্প্রতি আবার সেই প্রসঙ্গে কথা বলেছেন ফয়জ়ল। জানিয়েছেন, আমির তাঁকে মাদক দিয়ে অবশ করে রাখার চেষ্টা করতেন। শুধু তাই নয়, লাঠি, দড়ি দিয়ে তাঁর উপর চড়াও হতেন। এমনকি, তাঁর প্রাণনাশের আশঙ্কা হয়েছিল।
ফয়জ়লের অভিযোগ, তাঁর পরিবারের সদস্যেরা তাঁকে গৃহবন্দি করে রেখেছিলেন। তাঁদের মনে হয়েছিল, ফয়জ়ল মানসিক অবসাদগ্রস্ত এবং স্ক্রিৎজোফেনিয়া রোগে আক্রান্ত। এর পরেই তাঁদের সঙ্গে আইনি লড়াইয়ে জড়ান ফয়জ়ল। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে ফয়জ়ল জানিয়েছেন, পরিবারের জন্য মঙ্গল কামনা করলেও তাঁদের থেকে দূরত্ব বজায় রাখেন তিনি। দীর্ঘ দিন বলিউডেও কোনও কাজ করেননি তিনি। তবে পুরনো স্মৃতি নাকি ভুলতে পারছেন না তিনি। ফয়জ়ল বলেন, ‘‘আমি এক দিন একা ছিলাম। বাড়িতে ৪০ জন সন্ডাগন্ডা লোক নিয়ে আমার বাড়িতে চড়াও হয়। আমাকে বলে, তুমি পাগল। লাঠি দড়ি সব নিয়ে হাজির হন। আমাকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যেতে এসেছিল। আমি বললাম, টানাহেঁচড়া করতে হবে না, আমি এমনিই যাচ্ছি। সেখানে গিয়ে ভাবলাম, কিছু পরীক্ষা করে ছেড়ে দেওয়া হবে। কিন্তু, না। কী সব ওষুধ দিল। জোর করে কী সব খাইয়ে দিল। ২০ ঘণ্টা ঘুমিয়ে ছিলাম। আমি প্রাণে মরে যেতে পারতাম। আমার ফোন কেড়ে নিয়ে আমাকে ঘরে আটকে রাখা হয়।’’ ফয়জল বলেন, “আমাকে পালাতে হয়েছিল। আমি পালিয়ে না গেলে হয়তো এখনও পরিবারের সদস্যেরা আমাকে গৃহবন্দি করে রাখত।” তিনি আরও বলেছিলেন, “যে বিষয়গুলিতে আমার স্বাক্ষর করার কথা, সেখানে আমির নিজে স্বাক্ষর করার অধিকার চেয়েছিল। ও মনে করত আমি পাগল এবং নিজের যত্ন নিতে পারি না। এর পরেই আমি বাড়ি ছেড়ে দিই।”
আরও পড়ুন:
ফয়জ়ল জানিয়েছিলেন, জে জে হাসপাতালে ২০ দিন তাঁর মানসিক স্বাস্থ্যের পরীক্ষা চলার পর তাঁকে সুস্থ এবং স্বাভাবিক বলে ঘোষণা করে আদালত।