মহালয়ায় যত আনন্দ, দশমীতে ততটাই বিষাদ অভিনেতা জয়দীপ কুন্ডুদের বাড়িতে। প্রতি বছর এই দিন প্রতিমার বিসর্জন। বৃহস্পতিবার পড়লেও নিয়মের অন্যথা হয়নি, আনন্দবাজার ডট কম-কে জানালেন তিনি। এ দিন, সিঁদুর খেলতে কুন্ডুবাড়িতে উপস্থিত ছিলেন সস্ত্রীক আবীর চট্টোপাধ্যায়, সপরিবার মানালি দে।
বেলা আন্দাজ তিনটে। ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি এসে ভিজিয়ে দিয়েছে উত্তর কলকাতার গলি থেকে রাজপথ। কুন্ডুবাড়ি ব্যস্ত প্রতিমা বরণে। একচালার, ডাকের সাজের দেবী দুর্গার মুখও যেন বিষণ্ণ। পানপাতা দিয়ে যত্ন করে প্রতিমার দুই গাল মুছিয়ে দিচ্ছেন বাড়ির মেয়েরা। দেবীবরণ ছাপিয়ে হঠাৎ মৃদু গুঞ্জন।
আরও পড়ুন:
স্ত্রী নন্দিনীকে নিয়ে পুজোবাড়িতে পা রাখলেন আবীর। গেরুয়া পাঞ্জাবি-সাদা পাজামায় ধোপদুরস্ত বড়পর্দার ‘পঙ্কজ সিংহ’। নন্দিনীর কপালে বাড়ির মেয়েরা তত ক্ষণে সিঁদুর ছুঁয়ে দিয়েছেন। একই ভাবে সিঁদুররাঙা অভিনেত্রী মানালি আর তাঁর পরিচালক স্বামী অভিমন্যু মুখোপাধ্যায়। মানালি এ দিন লালপাড় সাদা শাড়ি, শাঁখা-পলায় বাঙালি বধূ। এসেছিলেন রাহুল দেব বসু ও দেবাদৃতা বসু। জুটির এই নিয়ে তৃতীয় বিজয়া। সে কথা মনে করিয়ে দিয়ে তাঁরা বললেন, “এখান থেকে দক্ষিণ কলকাতায় বিভিন্ন পুজোয় যেতে হবে। আমন্ত্রণ পেয়েছি। বৃষ্টি সামলে দেখি, কতটা যেতে পারি।”
প্রেমিক রাহুল দেব বসুর সঙ্গে কুন্ডুদের পুজোয় দেবাদৃতা বসু। নিজস্ব চিত্র।
জয়দীপের কথায়, “সাধারণত বৃহস্পতিবার প্রতিমার বিসর্জন দেওয়া হয় না। বিশেষ করে বাড়ির প্রতিমা। কিন্তু আমাদের পুরোহিতমশাই বলেন, পুরোনো রীতি মেনে চলাই মঙ্গল।” তাই চোখে জল আর মুখে হাসি নিয়ে কুন্ডুবাড়ির মেয়েদের নিবেদন, “অপেক্ষায় রইলাম। বচ্ছরান্তে আবার এসো মা।”