সিধু মুসে ওয়ালা এবং সলমন খান। ফাইল ছবি।
পঞ্জাবের জনপ্রিয় গায়ক তথা কংগ্রেস নেতা সিধু মুসে ওয়ালার হত্যায় এক অভিযুক্ত সলমন খানকে হত্যা করতে ঘুরে গিয়েছিল মুম্বই। বাণিজ্যনগরীতে ঘটনার বাস্তবরূপ কী করে দেওয়া যাবে, তা রেইকি করে দেখেও যান তিনি। এমনই বিস্ফোরক দাবি পঞ্জাব পুলিশ প্রধানের। প্রসঙ্গত, গত জুনে খুনের হুমকি পান সলমন ও তাঁর বাবা সেলিম খান।
রেইকির ব্যাপারটি গ্যাঙস্টার লরেন্স বিষ্ণোইয়ের নির্দেশে হয়েছিল বলে দাবি পুলিশের। পঞ্জাব পুলিশের ডিরেক্টর জেনারেল (ডিজিপি) গৌরব যাদব বলেন, ‘‘মুসে ওয়ালা খুনের তদন্তে নেমে আমরা জানতে পেরেছি, গ্রেফতার হওয়া অন্যতম অভিযুক্ত কপিল পণ্ডিত সচিন বিষ্ণোই ও সন্তোষ যাদবকে সঙ্গে নিয়ে সলমনকে হত্যা করতে মুম্বই ঘুরে যান। আমরা সবাইকেই জিজ্ঞাসাবাদ করব। প্রাথমিক ভাবে মনে হচ্ছে, এর সঙ্গে গ্যাংস্টার সম্পৎ নেহরা যুক্ত।’’
পঞ্জাব পুলিশের প্রধান জানান, মুসে ওয়ালা খুনে এখনও পর্যন্ত ২৩ জন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মোট ৩৫ জন অভিযুক্তের মধ্যে পুলিশের সঙ্গে এনকাউন্টারে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। গৌরব বলেন, ‘‘গ্যাংস্টার গোল্ডি ব্রারের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলকে দিয়ে রেড কর্নার নোটিস জারি করানো হয়েছে।’’
শনিবারই পঞ্জাব পুলিশ ঘোষণা করে, মুসে ওয়ালা খুনে বড় সাফল্য পাওয়া গিয়েছে। পুলিশ দীপক মুন্ডিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁর সঙ্গেই গ্রেফতার হয়েছেন দীপকের দুই সঙ্গী কপিল পণ্ডিত ও রাজিন্দর। তিন জনকেই ছ’দিনের পুলিশ হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেয় আদালত। প্রসঙ্গত, পঞ্জাব সরকার নিরাপত্তা তুলে নেওয়ার পরের দিনই মানসা জেলায় গাড়ি ঘিরে ধরে গুলি করে খুন করা হয় গায়ক-রাজনীতিবিদ সিধু মুসে ওয়ালাকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy