কোন উপাদান থাকলে দর্শক বাংলা ছবি দেখবে? অ্যাসিড টেস্ট চলছেই। তার মধ্যে এগিয়ে রহস্য-রোমাঞ্চ আর পারিবারিক ছবি। পরিচালক অভিরূপ ঘোষ প্রথম ঘরানা বেছে নিয়েছেন। মানিকতলা থানার দায়িত্ব প্রাপ্ত অফিসার দেবাশিস দত্তর সঙ্গে ঘটে যাওয়া সত্যি ঘটনা অবলম্বনে তৈরি তাঁর আগামী ছবি ‘মৃগয়া’। “মৃণাল সেনের ছবির নামে আমার ছবির নাম। মিল বলতে এ টুকুই।” আনন্দবাজার ডট কমকে বলেছেন পরিচালক। শিকার আর শিকারির গল্প নিয়ে ছবি। অভিনয়ে ঋত্বিক চক্রবর্তী, অনির্বাণ চক্রবর্তী, প্রিয়াঙ্কা সরকার, বিক্রম চট্টোপাধ্যায়, সুস্মিতা চট্টোপাধ্যায়, সৌরভ দাস, রিজওয়ান রব্বানি প্রমুখ।
কে শিকার হলেন, কে-ই বা শিকার করলেন? পরিচালক জানিয়েছেন, এটা চেন সিস্টেমে এগিয়েছে। কখনও পুলিশ শিকার করছে অপরাধীকে। কখনও অপরাধী নিষিদ্ধপল্লির যৌনকর্মীকে। এ ভাবেই গল্প এগিয়েছে। চিত্রনাট্য অনুযায়ী তিন পুলিশ ঋত্বিক, অনির্বাণ, বিক্রম। অপরাধীর ভূমিকায় সৌরভ। যৌনকর্মীর চরিত্রে প্রিয়াঙ্কা। প্রযোজনায় টেন্থ ডায়মেনশন এন্টারটেইনমেন্ট। ছবিমুক্তি ২৩ জুন।
‘মৃগয়া’ ছবিতে সৌরভ দাস। ছবি: সংগৃহীত।
'চালচিত্র' ছবির পর এই ছবিতে তিন পুলিশের এক পুলিশ অনির্বাণ। স্বাদ বদলাচ্ছেন 'একেন বাবু'? প্রশ্ন রাখতেই জবাব দিলেন, "একেনবাবু থেকে সিরিজ 'মিসিং লিঙ্ক' 'চালচিত্র' হয়ে 'মৃগয়া'-- প্রত্যেকটায় আমি ভিন্ন রূপে পুলিশ অফিসার। এই ছবিতে আমি অপরাধদমন শাখার এক অফিসার। বাজপাখির মতো শ্যেনদৃষ্টি যাঁর।"
বাস্তবের সঙ্গে চরিত্র কতটা মেলে? মৃদু হেসে অভিনেতা জানালেন, বাস্তবেও তিনি নীরব পর্যবেক্ষক। তাঁর নজর থেকে কিছু এড়িয়ে যাওয়া মুশকিল। বার বার পুলিশের চরিত্রে যখন এ বার মনে হয় পর্দায় চাবুক চেহারা প্রয়োজন.... কথা শেষ করতে না দিয়ে অনির্বাণ বললেন, "রোগা থাকার চেয়ে সুস্থ থাকা আমার কাছে বেশি জরুরি। আমি কিন্তু দিব্যি মারপিট করতে পারি।" এও জানিয়েছেন, প্রয়োজনে ওজন ঝরাতে বেশি সময় লাগে না তাঁর।
‘মৃগয়া’য় ঋত্বিক চক্রবর্তী, বিক্রম চট্টোপাধ্যায়। ছবি: সংগৃহীত।
ব্যক্তিগত জীবনে অনির্বাণ মৃগয়া করেন? আজ পর্যন্ত 'শিকার' হয়েছেন?
ফোনের ও পারে দিলখোলা হাসি। তুষ্ট গলায় জবাব দিলেন, "এমনিতে আমি শিকারি। মৃগয়া করতে ভালবাসি। বুঝতেই পারছেন, চট করে আমায় শিকার করা যায় না।" শ্বাস নিয়ে সতর্ক গলায় সংযোজন, "নিজে থেকে কারও কাছে ধরা না দিলে আমায় ফাঁদে ফেলা মুশকিল।"