বছরে একটা বাংলা ছবি করেন। ৩৬৫ দিনের সামান্য কয়েকটি দিন সেই সূত্রে কলকাতাবাস। তাতেই তৃপ্ত জাতীয় স্তরের অভিনেতা চন্দন রায় সান্যাল। সম্প্রতি সে কথা তিনি সংবাদমাধ্যমে ফাঁস করেছেন। জানিয়েছেন আনন্দবাজার অনলাইনকেও। “অর্থকরী বা পেশাদারিত্বের দিক থেকে বলিউডের থেকে বাংলা ইন্ডাস্ট্রি অনেকটাই আলাদা। কিন্তু বাজি মেরে দিয়েছে আত্মীয়তায়, অতিথিপরায়ণতায়, একতায়। এখানে এগুলো এখনও বজায় আছে। খুব ভাল লাগে।”
নিজের বক্তব্যের পক্ষে অভিনেতা যুক্তি দিয়েছেন। “নয় নয় করে খুব কম বাংলা ছবিতে কাজ করিনি। কিন্তু পরিবেশটা এখনও এক। সেই গোল হয়ে বসে আড্ডা, সেখানে রকমারি খাবার। তার থেকেও বড় কথা, সকলে মোটামুটি একই খাবার পছন্দ করেন! একই বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে ভালবাসেন। যেন পরিবার!” মুম্বই সেই তুলনায় ভীষণ পেশাদার। সারা ক্ষণ দৌড়চ্ছেন সবাই। নিন্দকেরা বলেন, পেশাদারিত্ব কম বলেই নাকি টলিউড পিছিয়ে? মানেন না চন্দন। তাঁর পাল্টা দাবি, “এই একতারও প্রয়োজন। সকলে মিলে কাজ করলে তবেই না একটা কাজ ভাল হয়!”
রুক্মিণী মৈত্র অভিনীত ‘বিনোদিনী: একটি নটীর উপাখ্যান’ ছবিতে চন্দন ‘শ্রীরামকৃষ্ণ’। যাঁর আশীর্বাদে জীবন বদলে গিয়েছিল নটীর। এমন একটি ঐতিহাসিক চরিত্রে অভিনয় করে অভিনেতা কতটা বদলালেন?
আরও পড়ুন:
তিনি যে বদলেছে তা স্পষ্ট তাঁর কথায়। চন্দন বলেছেন, “বেশ কিছু দিন ধরেই ইচ্ছে, আধ্যাত্মিক দুনিয়া সম্বন্ধে জানতে। একটু একটু করে পড়াশোনা শুরু করেছি। ঠিক সেই সময় এই ধরনের চরিত্রের জন্য ডাক। মনে হল, ঈশ্বরের নিদের্শেই যেন ঘটল ব্যাপারটা। আমি নিমিত্ত মাত্র।” তাই অন্য সময় নিজের অভিনীত চরিত্র পর্দায় দেখে ভাল-মন্দ কিছু বলেন। এই ছবির ক্ষেত্রে তিনি নীরব! পুরোটাই ছেড়ে দিয়েছেন দর্শকদের উপরে। কেবল এটুকু জানিয়েছেন, এক বাঙালি বর্ষীয়ান সাংবাদিক তাঁর সাক্ষাৎকার নিতে নিতে নাকি আবেগাপ্লুত। চোখের জল ধরে রাখতে পারেননি।
আগামী দিনে কি একটার বদলে বছরে দুটো বাংলা ছবি করবেন চন্দন? অভিনেতা সেই মুহূর্তে নিজের ঘর গোছাতে ব্যস্ত। তারই ফাঁকে জানালেন, বিষয়টি তিনি টলিউডের পরিচালকদের উপরে ছেড়ে দিচ্ছেন। বাংলা যদি তাঁকে পাল্টা বেশি ভালবাসে, তা হলে বছরে দুটো ছবি হতে কত ক্ষণ!