শ্রীমা ও গৌরব
পটভূমিকায় আঁকাবাঁকা পাহাড়ি পথ। নীল আকাশের নীচে একা শ্রীমা ভট্টাচার্য। ক্যাপশন, ‘সোজা পথের ধাঁধাঁয় আমি অনেক ধেঁধেছি, পথ হারাব বলেই এবার পথে নেমেছি’। সাদা চোখে দেখলে বেরানোর ছবি। কিন্তু এই ছবি আর ক্যাপশন দেখেই প্রশ্ন অনুরাগীদের, বিচ্ছিন্ন গৌরব-শ্রীমা? এই প্রশ্ন উঠেছিল ১ মার্চ, অভিনেত্রীর জন্মদিনেও। কেক কাটা, বন্ধুদের সঙ্গে হুল্লোড়, সব ছবিই অভিনেত্রী শেয়ার করেছিলেন ইনস্টাগ্রামে। সেদিনের সব ছবিতেই অনুপস্থিত গৌরব রায়চৌধুরী। সেদিনও নেটাগরিকেরা অবাক হয়েছিলেন, বিশেষ দিনে শ্রীমার পাশে গৌরব নেই দেখে।
একই প্রশ্ন আনন্দবাজার ডিজিটাল রেখেছিল অভিনেত্রীর কাছে। কী বললেন তিনি? পাল্টা প্রশ্ন রাখলেন শ্রীমা, ‘‘জবাব দিতে দিতে ক্লান্ত। আপনারা কেন গৌরবকে এই প্রশ্ন করছেন না?’’ দাবি, গৌরবের পোস্ট নিয়মিত দেখলেই বোঝা যাবে, তিনি নাকি আর আগের মতো নেই। ছবির ক্যাপশনে কখনও ‘নতুন কফি কাপে চুমুক’, কখনও ‘ফেলে আসা অতীত’-এর মতো শব্দবন্ধ ব্যবহার করছেন অভিনেতা। যা নাকি নতুন সম্পর্কের দিকেই ইঙ্গিত করছে। এই গৌরবকে শ্রীমা চেনেন না।
‘‘অনেক বার প্রশ্ন করেছি এই নিয়ে। কথা বলতে চেয়েছি। গৌরব এড়িয়ে গিয়েছে। এখন অনুরাগীরা সামাজিক মাধ্যমে জানতে চাইছেন। তাই দেখে কৌতূহলী আত্মীয়রাও। তাঁরাও একই প্রশ্ন করছেন। কী বলি সবাইকে?’’ অভিমান শ্রীমার গলাতে। গত বছরের পুজোর সময়েই ভালবাসায় ভাটার টান দুই অভিনেতার। উৎসবের দিনগুলোও একা একা কাটিয়েছেন অভিনেত্রী। তখনও ডেকে সাড়া পাননি গৌরবের, জানিয়েছিলেন আনন্দবাজার ডিজিটালকে।
অভিনেত্রীর কথায়, ২০২০-র অক্টোবর থেকে ২০২১-র মার্চ টানা ৬ মাস অনেক মানসিক টানাপড়েন গিয়েছে তাঁর। দিন গুনেছেন। অপেক্ষা করেছেন। ভেঙে পড়েছেন। মুখোমুখি হয়েছেন সবার কৌতূহলের। ‘‘বাড়ি থেকে বেরোতাম না। নিজের যত্ন নিতাম না। বন্ধুদের সঙ্গে কথাও বলতাম না ঠিক করে। সবার থেকে, সব কিছু থেকে সরে গিয়েছিলাম। সেই সময় ইন্ডাস্ট্রির বন্ধুদের পাশে পেয়েছি। ওঁরা না থাকলে আমি আরও ডুবে যেতাম’’, অকপট শ্রীমা। তাঁদের সাহায্যেই সব ভুলে নিজের জীবন তিনি ফের গুছিয়ে নিচ্ছেন নিজের মতো করে।
কী করছেন তার জন্য? প্রচুর বিজ্ঞাপন শ্যুট করছেন। আর সময় পেলেই ঘুরতে বেরিয়ে পড়ছেন পাহাড়ি আঁকাবাঁকা পথে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy