Advertisement
E-Paper

‘সবাই ভাবে রোশনি ও আমার মধ্যে কিছু চলছে’

‘হৃদয়হরণ বিএ পাস’-এর দৌলতে প্রথম বার বাংলা ধারাবাহিকে মূল চরিত্রে অভিনয় করছেন জয়ী দেবরায়। তাঁর সঙ্গে কথা বললেন মৌসুমী বিলকিস।‘হৃদয়হরণ বিএ পাস’-এর দৌলতে প্রথম বার বাংলা ধারাবাহিকে মূল চরিত্রে অভিনয় করছেন জয়ী দেবরায়। তাঁর সঙ্গে কথা বললেন মৌসুমী বিলকিস।

শেষ আপডেট: ২৯ অক্টোবর ২০১৮ ১৬:০৫
জয়ী দেবরায়।

জয়ী দেবরায়।

কার হৃদয় হরণ করছেন?

আমি একেবারে কেরিয়ারে ফোকাসড। কাজের পরে আর কারও হৃদয় হরণ করার সময় থাকে না। তবে অবশ্যই দর্শকদের হৃদয় হরণ করতে চাই।

প্রেমে পড়েন তো নিশ্চয়ই?

আমার প্রেমে পড়তে সময় লাগে। প্রেমের জন্য যতটা সময় দেওয়া দরকার, ততটা সময় সত্যি এই মুহূর্তে আমার হাতে নেই। কিন্তু দর্শকদের সঙ্গে আমার সম্পর্ক অবশ্যই প্রেমের (হাসি)। দর্শকরা খুশি হলে আমিও খুশি।

তা হলে আপনার প্রেমিকা নেই?

না, নেই তো। আমার শেষ সম্পর্ক প্রায় চার বছর আগেই শেষ হয়ে গেছে। এখন আমি সিঙ্গল।

মেগার ব্যস্ততা কেমন?

মেগা তো আমাকে শেষ করে দিয়েছে। এই দু’মাসে আমি মানে... এত কষ্ট! রোজ সকালে আটটা বা ন’টায় কল টাইম থাকে। সকাল ছ’টায় আমাকে ঘুম থেকে উঠতেই হয়। আমার যোগা, মেডিটেশন থাকে। সকালে উঠেই ব্যস্ততা শুরু হয়ে যায়। কল টাইমের এক ঘণ্টা আগে বাড়ি থেকে বেরোতে হয়। শুটিং শেষ করে বাড়ি পৌঁছতে প্রায় রাত এগারোটা। মানে পাঁচ, ছ’ঘণ্টাও ঘুমোনোর সময় পাওয়া যায় না। চোখ বসে যায়। প্রেশার লো হয়ে যায়। ক্লান্ত হয়ে গিয়েছি।

ধারাবাহিকে আপনার জুটি ‘পেখম’ অর্থাত্ রোশনির সঙ্গে কেমিস্ট্রি কেমন?

খুবই ভাল। এত ভাল, যে সবাই ভাবে আমাদের মধ্যে কিছু চলছে। কিন্তু সত্যি আমাদের সম্পর্ক বন্ধুত্বের। আমার অভিনয় ভাল হলে ও আমার প্রশংসা করে। ওর শট ভাল লাগলে আমি ওকে এনকারেজ করি। ও খুব চঞ্চল। মাঝে মাঝে বকুনি খায় তার জন্য। তখন ওকে আরও এনকারেজ করি যাতে ও আরও ভাল পারফর্ম করে। অ্যাজ অ্যান অ্যাক্টর উই এনকারেজ ইচ আদার। আমাদের দু’জনের থট প্রসেসও ম্যাচ করে খুব।

একাধিক হিন্দি ফিচারের অফার আছে। জানালেন অভিনেতা।

এই চরিত্রটা বেছে নিলেন কেন?

সকলে মনে করেছেন এই চরিত্রটা আমি হতে পারি। একটা সহজ সরল ছেলে, তার বডি ল্যাংগোয়েজ... অনেক কিছু শেখার আছে। এটা আমার খুব চ্যালেঞ্জিং মনে হয়েছে। যাঁরা আমাকে নির্বাচন করেছেন তাঁদের ধন্যবাদ।

আপনি তো ফিল্মে অভিনয় করেছেন, টেলিভিশন ধারাবাহিকে অভিনয়ের সিদ্ধান্ত নিলেন কেন?

আরও পড়ুন: করবা চৌথে ক্যানসারে আক্রান্ত স্ত্রীর জন্য কী করলেন আয়ুষ্মান খুরানা?

সত্যি বলব (হাসি)?

অবশ্যই।

আমি ফ্ল্যাট কিনেছি। ইনস্টলমেন্ট দেওয়ার জন্য ধারাবাহিক করার সিদ্ধান্ত নিলাম। আগে অনেক ধারাবাহিক করার অফার আসত। সব বাতিল করে দিতাম। আমি যখন জানালাম এ বার ধারাবাহিক করব, সঙ্গে সঙ্গে আমার কাছে অফার এল।

এই চরিত্র করতে কতটা পরিশ্রম করতে হচ্ছে?

অনেক খাটতে হচ্ছে। আমি ছোট থেকে বোর্ডিং স্কুলে থেকেছি, কোনও বাঙালি বন্ধু ছিল না। বাড়িতে ইংরাজি এবং হিন্দিতে কথা বলতাম। সেই ছেলেটা বাংলা বলছে! শুটিং লোকেশনে আমাকে মেকআপ রুমে পাবেন না। হাতে স্ক্রিপ্ট এলেই সেটাকে আমি রোমানে লিখে নিই। হাতে লেখা স্ক্রিপ্ট তো, সব সময় পড়তে পারি না। টাইপ করা স্ক্রিপ্ট হলে পড়তে পারি। সংলাপের কিছু অংশ বুঝতে পারি না। তাই সব সময় সেটে থাকি। আমাকে প্রতিটি শব্দের মানে বুঝে প্রস্তুতি নিতে হয়।

আরও পড়ুন: ৬৫ বছরের অনুপ জালোটার ২৮ বছরের গার্লফ্রেন্ডকে চেনেন?

ধারাবাহিকের একটি দৃশ্য।

ফিল্ম এবং টিভি ধারাবাহিকে অভিনয় করার পার্থক্য কী?

ধারাবাহিকে একটা দৃশ্য টানা শুট করা হতে পারে। ফলে একটা দীর্ঘ সময় ধরে কোথায় দাঁড়াব, কতটুকু হাঁটব, কী ভাবে সংলাপ বলব, ভাল করে বুঝে নিতে হয়। কুড়ি মিনিটের এপিসোড তোলার একটা চাপ থাকে। ফিচার ফিল্মের মতো সব সময় ক্লোজ নেওয়া হয় না। আমি এখনও শিখছি।

ইন্ডাস্ট্রি থেকে কী আশা করছেন?

আমি বেশি কিছু ভেবে চলি না। তাই কিছু আশাও করি না। শুধু সামনে একটা রাস্তা দেখি। আমি জানি আমাকে এগিয়ে যেতে হবে। এগিয়ে যাওয়ার পথে কিছু আসে চ্যালেঞ্জিং মনে হলে গ্রহণ করব। দ্যাটস অল।

নতুন কোনও কাজের অফার আছে?

বাংলাদেশ থেকে দুটো স্ক্রিপ্ট এসেছে। কিন্তু সময় দিতে পারব না। মেগা ছেড়ে সময় দেওয়া সম্ভব নয়। একাধিক হিন্দি ফিচারের অফার আছে। দু-একটা কনফার্ম। বিস্তারিত এখনই বলা যাবে না। চমক আছে।

(মুভি ট্রেলার থেকে টাটকা মুভি রিভিউ - রুপোলি পর্দার সব খবর জানতে পড়ুন আমাদের বিনোদন বিভাগ।)

Joey Debroy television hridoy horon ba pass
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy