দীর্ঘ রোগভোগের পর চির বিদায় নিলেন রূপা গঙ্গোপাধ্যায়ের মা। খবর, শুক্রবার, স্বাধীনতা দিবসের দিন চলে গেলেন তিনি। দীর্ঘ দিন ধরে ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই চলছিল তাঁর। মাঝেমধ্যেই অনেকটা দিন বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি থাকতে হত তাঁকে। শুক্রবার রাতে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। মাকে হারিয়ে শোকস্তব্ধ অভিনেত্রী-রাজনীতিবিদ। সমাজমাধ্যমে সে কথা জানিয়ে লিখেছেন, “মা চলে গেলেন বাবার সঙ্গে দেখা করতে।”
রূপার জীবনের অনেকটা জুড়ে ছিলেন তাঁর মা। আগে একাধিক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী-রাজনীতিবিদ জানিয়েছেন সে কথা। ছোট থেকে প্রায় একা হাতে মেয়েকে মানুষ করেছেন তিনি। সেই সময় অভিনেত্রীর বাবা থাকতেন বাংলাদেশে। রূপা একাধিক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, তাঁর মা হাতের কাজ খুব ভাল জানতেন। সংসার চালানোর পাশাপাশি মেয়েকে মানুষ করার জন্য হাতের কাজ ছিল তাঁর একমাত্র সম্বল। জানা যায়, বড়বাজার থেকে কাপড় কিনে এনে সায়া, পর্দা, কুশন কভার, বালিশের কভার বানাতেন অভিনেত্রীর সদ্যপ্রয়াত মা। পরে অভিনেত্রীও মায়ের থেকে হাতের কাজ শিখেছিলেন। পড়াশোনার ফাঁকে মায়ের কাজে সাহায্য করতেন তিনিও।
সদ্যপ্রয়াত মায়ের প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে তিনি আরও জানান, তাঁর মা কাপড়ের পুতুলও বানাতে পারতেন। মায়ের হাতের তৈরি পুতুল ছিল তাঁর ভীষণ পছন্দের, খেলার সঙ্গী। পড়শি, পরিচিতদের পাশাপাশি সমস্ত আত্মীয়-পরিজনের সায়া-ব্লাউজ ইত্যাদি বানিয়ে দিতেন তাঁর মা। সে সময় এ ভাবেই সংসার চলত তাঁদের।