আনন্দবাজার অনলাইন পড়ে জানলাম, খাতায়-কলমে আমার স্বামী পরিচালক তথাগত মুখোপাধ্যায় সত্যি সত্যি প্রেমে পড়েছেন। এটাই এত দিন আমি বলতে চেয়েছি সকলকে, বোঝাতে চেয়েছি। এর আগে যে খবর তৈরি করা হয়েছে, ছড়ানো হয়েছে— সেটা মিথ্যে। গত তিন বছরে কেউ ছিল না ওর জীবনে, কোনও প্রেম ছিল না। যত বার বলেছি তত বার আমাকে ‘পাগল’, ‘মানসিক রোগী’ আখ্যা দেওয়া হয়েছে। এ-ও শুনতে হয়েছে, অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে জোর করে যেন নিজেকে প্রমাণ করার চেষ্টা করছি। ভুল প্রমাণ করতে চাইছি সংবাদমাধ্যম, সমাজমাধ্যমকে।
এ বার কী বলবেন? শেষ পর্যন্ত প্রমাণিত, আমি ভুল নই, আমিই ঠিক।
বিশ্বাস করুন বা না করুন, এ বছরের প্রেম দিবস আমার জীবনে সেরা। কারণ, তথাগত সুখী। ও নিশ্চিত ভাবে প্রেমে পড়েছে তা ইতিমধ্যেই প্রকাশ্যে। এটা শোনার পর থেকে আমি যে কী খুশি, ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না! কোনও হিংসা, রাগ, ক্ষোভ— কিচ্ছু নেই। আমি আনন্দে বিভোর। বরাবর বলে এসেছি, তথা কোনও দিন ঠিকঠাক প্রেম করলে সকলকে জানাবে। ও প্রেম লুকিয়ে রাখার মতো মানুষ নয়। কারণ, আমার থেকে বেশি তথাগতকে আপনারা চেনেন না। এর পরেও হয়তো বলবেন, ফের ভুল বকছি। তাই যদি হবে, তা হলে গত তিন বছরে যে মধ্যবর্তিনী খবরের শিরোনামে এসেছেন, তাঁর সঙ্গে ‘প্রেমে আছি’— এই কথাটা ও বলেনি কেন? অথচ মাত্র দু’মাসের সম্পর্ককে ‘প্রেম’ আখ্যা দিয়ে ফেলল? এটাই বাস্তব, এটাই তথাগত।
এ বার বলবেন, খাতায়-কলমে আমরা এখনও স্বামী-স্ত্রী। তার পরেও স্বামীর প্রেম শুনে খুশি?
আমার একাধিক যুক্তি। এক, আমরা বিচ্ছেদের মামলা দায়ের করিনি। কিন্তু গত তিন বছর ধরে আমরা এক ছাদের নীচেও থাকি না। ফলে, সেই অর্থে আমাদের দাম্পত্য নেই। দুই, শীর্ষ আদালত যখন এক সম্পর্কে থাকাকালীন অন্য সম্পর্কের মান্যতা দেয় সেখানে আমি বলার কে? তিন, আমি প্রচণ্ড ভালবাসি তথাগতকে, এখনও। ওর ভাল থাকাটাই কাম্য। তাই আমি খুশি।
আরও পড়ুন:
আমি যদি ওর প্রেমজীবন নিয়ে খুশি থাকতে পারি আপনাদের সমস্যা কোথায়?
এই ভালবাসাই আমাদের মধ্যে বন্ধুত্ব গড়ে দিয়েছে। এখনও আমাদের পোষ্য সন্তানের বিষয়ে আমাদের কাছেই ফোন আসে। এখনও সমাজমাধ্যমে তথার কোনও ছবিতে চোখের তলায় কালি দেখলে ফোন করে জানতে চাই, চোখের কোলে কালি কেন? তুই ভাল নেই? ওর এমন অনেক গোপন কথা জানি, যা আর কেউ জানে না। তথাগত মুখোপাধ্যায়কে এ ভাবেই আজীবন ভালবেসে যাব। এ ভাবেই আমার জীবনে আজীবন থেকে যাবে ও।