Advertisement
E-Paper

সন্তানের অন্ত্রে ফুটো, শরীর কেটে অস্ত্রোপচার! দিয়ার অনুরোধ ছিল, ‘আমার ছেলেটাকে বাঁচান’

সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাকে এনআইসিউ-তে নিয়ে যাওয়া হয়। জন্মের পরে সন্তানের ওজন ছিল মাত্র ৮১০ গ্রাম। জানিয়েছেন দিয়া।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০২ জুন ২০২৫ ২০:৩৮
Dia Mirza

ভয়াবহ অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিলেন দিয়া। ছবি: সংগৃহীত।

সন্তান জন্ম দিতে গিয়ে প্রাণ হারাতে বসেছিলেন দিয়া মির্জ়া। সেই ভয়াবহ অভিজ্ঞতা সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে ভাগ করে নিলেন অভিনেত্রী। ৩৯ বছরে মা হয়েছেন দিয়া। সুস্থ হয়ে সন্তান-সহ তিনি বাড়ি ফিরতে পারবেন, এমন আশাই করেননি। সন্তান জন্ম দেওয়ার সময়ে সাংঘাতিক ব্যাকটেরিয়াল সংক্রমণের শিকার হয়েছিলেন দিয়া। অভিনেত্রী যখন পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা, তখন তাঁর অ্যাপেন্ডিক্স অস্ত্রোপচার হয়েছিল। দিয়ার ধারণা, সেখান থেকেই শরীরে সংক্রমণ ছড়িয়েছিল।

সাক্ষাৎকারে দিয়া জানিয়েছেন, নির্দিষ্ট সময়ের আগেই সন্তানের জন্ম দিতে হয়েছিল তাঁকে। কারণ, সন্তান ভূমিষ্ঠ হতে না পারলে, মা ও পুত্র দু’জনেরই মৃত্যু হত। স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞের হাতে-পায়ে ধরেছিলেন দিয়া। একটাই দাবি ছিল তাঁর, “আমার সন্তানকে বাঁচান।” সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাকে এনআইসিউ-তে নিয়ে যাওয়া হয়। জন্মের পরে সন্তানের ওজন ছিল মাত্র ৮১০ গ্রাম। জানিয়েছেন দিয়া।

জন্মের মাত্র ৩৬ ঘণ্টা পরেই সন্তানের শরীরেও হয় জটিল অস্ত্রোপচার। চিকিৎসক দিয়াকে জানিয়েছিলেন, দিয়ার শরীরের সংক্রমণে প্রাণ সংশয়ও ছিল। আর সামান্য দেরি হলে কাউকেই বাঁচানো যেত না। দিয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন, “আমার ছেলের অন্ত্রে ফুটো ছিল। সেই জন্য অস্ত্রোপচার করাতে হয়। শরীরের বাইরে থেকে অন্ত্র বার করে এনে অস্ত্রোপচার করতে হয়েছিল। সেই সময়ে কোভিডও ছিল। সপ্তাহে দু’দিন ওকে দেখতে যাওয়ার অনুমতি ছিল আমার কাছে। আড়াই কেজি ওজন না হওয়া পর্যন্ত ওকে ধরা যাবে না, এই নির্দেশ ছিল। ওকে বাড়ি আনার পরেও কোনও নার্স ওকে ধরতে সাহস পেত না।” নিজে হাতেই ড্রেসিং সারতেন দিয়া।

এর পরে ওজন বাড়ে দিয়া-পুত্র আব্যানের। ওজন যখন সাড়ে তিন কেজি, তখন ফের একটি অস্ত্রোপচার হয়েছিল তার। টানা তিন ঘণ্টা ধরে সেই অস্ত্রোপচার হয়েছিল। এই ভয়াবহ স্মৃতি নিয়ে একটি বইও লিখবেন বলে জানিয়েছেন দিয়া।

Dia Mirza
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy