বিয়ের ২৫ দিনের মাথায় সন্তানহারা হলেন দিলীপ ঘোষের স্ত্রী রিঙ্কু মজুমদার। মৃত্যুর খবর ছড়াতেই শুরু হয়েছিল জলঘোলা। যদিও ময়নাতদন্তের রিপোর্টে ‘ফাউল প্লে’ বা আত্মহত্যার কোনও উল্লেখ নেই। তবু, ঘটনার পর থেকে সমাজমাধ্যমের কটাক্ষের কেন্দ্রে রিঙ্কু মজুমদার। মায়ের দ্বিতীয় বিয়ে সহ্য করতে পারেননি বলেই নাকি এমন পরিণতি ২৫ বছরের যুবক সৃঞ্জয় দাশগুপ্তের— দাবি নেটপাড়ার নিন্দকদের। তবে এই ঘটনা সম্পূর্ণ কাকতালীয় বলেই মনে করছেন দোলন রায়।
কাকতালীয় ঘটনার জেরে অভিনেত্রীকেও এক সময়ে সমাজমাধ্যমের কটাক্ষের শিকার হতে হয়েছিল। দীর্ঘ ২২ বছর একত্রবাস করার পরে ২০২০ সালের ১৬ জানুয়ারি বিয়ে করেছিলেন দোলন রায় ও দীপঙ্কর দে। বিয়ের পরের দিনই অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন দীপঙ্কর। তার জন্য একের পর এক তির্যক মন্তব্যে বিদ্ধ হতে হয়েছিল দোলনকেও। তবে সেই কথা ফের মনে করতে চান না তিনি। সেই একই পরিস্থিতিতে বর্তমানে রয়েছে রিঙ্কু মজুমদার। আনন্দবাজার ডট কমকে দোলন এই প্রসঙ্গে বলেছেন, “আসলে ঘটনাটি স্পর্শকাতর হয়ে গিয়েছে কারণ মাত্র ২৫ দিন আগেই বিয়েটা হয়েছিল। তার উপর মহিলা। তাই ছেলের মৃত্যু হওয়ায় সকলের মনে হতে শুরু করেছে, মা বিয়ে করে চলে গিয়েছেন, তাই ছেলে না খেতে পেয়ে মারা গেলেন। কিন্তু এই ভাবে দুইয়ে-দুইয়ে চার করে দেওয়া ঠিক নয়। এই ঘটনা কাকতালীয় বলেই শোনা যাচ্ছে। বিয়ে না হলেও তো এটা ঘটতে পারত। পুত্রের মৃত্যুর জন্য মায়ের দ্বিতীয় বিয়েকে দায়ী করা যায় না।”
আরও পড়ুন:
সমাজমাধ্যমে প্রতিক্রিয়া জানানোর কোনও বাধা নেই বলেও স্পষ্ট দাবি তাঁর। দোলন বলেন, “আসলে সমাজমাধ্যমে যে যা খুশি আজকাল বলতে পারে। সমাজমাধ্যমেরও ভাল দিক রয়েছে। কিন্তু খারাপ দিকটাই ব্যবহার করা হয়।” এ ছাড়াও সমাজে মায়েদের থেকে সীমাহীন প্রত্যাশার প্রসঙ্গটিও তুলে ধরেন তিনি। দোলনের কথায়, “আসলে মা মানে আমাদের কাছে যেন ঈশ্বরের মতো। সাধারণ মানুষের থেকে অনেক ঊর্ধ্বে। মায়েদের ভাল থাকা, খারাপ থাকা, চাহিদাকে কোনও সন্তানরাই মূল্য দিতে চাই না। অথচ ছেলেরা বিয়ে করে মাকে একা ফেলে চলে গেলে কেউ কোনও কথা বলে না। কিন্তু সেটা মা করলেই দোষ। ছেলেরাও তো আজকাল বিয়ে করে বিদেশেই চলে যায়। কত এমন একাকী মায়েদের দেখেছি। কই, তখন তো কোনও প্রতিবাদ দেখি না।”