পরনে সাগর নীলের সঙ্গে পিচ রঙের মিশেলে সিল্কের শাড়ি। কানে সোনালি রঙের ঝোলা দুল। এই সাজেই ‘ডিয়ার মা’ ছবির অনুষ্ঠানে হাজির জয়া আহসান। পোস্টার প্রকাশের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়, চন্দন রায় সান্যাল, বিক্রম ঘোষ। দীর্ঘ দশ বছর পর ফের বাংলা ছবি তৈরি করছেন পরিচালক অনিরুদ্ধ রায়চৌধুরী। তাই ছবি ঘিরে ইতিমধ্যেই তৈরি হয়েছে উত্তেজনা।
ছবির নাম ‘ডিয়ার মা’। রোজকার জীবনে মায়েদের শক্তির কথা উঠে আসবে এই ছবিতে। জয়া আহসানের জীবনেও তাঁর মায়ের অবদান বিপুল। তা তাঁর সমাজমাধ্যমে চোখ রাখলেও আন্দাজ করা যায়। এই প্রসঙ্গে জয়া বলেন, “সমাজমাধ্যম থেকে মানুষ বিষয়টা দেখতে পারে ঠিকই। তবে শুধুই সমাজমাধ্যম নয়, তারও অনেক ঊর্ধ্বে সবটা। আমি তো মায়েরই বড় সংস্করণ। যত বড় হচ্ছি উপলব্ধি করছি, আমি মায়ের মতো হয়ে উঠছি।। চেহারা, অনুভূতি, মন, মেজাজ, সব মায়ের মতো হয়ে যাচ্ছে। এগুলো দেখে মজাই লাগে।”

‘ডিয়ার মা’ ছবির পোস্টার প্রকাশ অনুষ্ঠান।
জয়া আরও বলেন, “সন্তানধারণ থেকে শুরু করে মা হিসাবে এগিয়ে যাওয়া— আমার মা-ও নিশ্চয় এই সময়গুলো উপভোগ করেছেন। এই চরিত্র তো বটেই। গোটা জীবনে চলার পথেই আমার মা আমার কাছে অনুপ্রেরণা।” এই ছবিতে চরিত্র ফুটিয়ে তুলতে মায়ের একটি গুণের কথা বার বার মনে করেছেন জয়া। অভিনেত্রীর কথায়, “আমার মায়ের ভাবনাচিন্তা খুব গভীর। মায়ের সঙ্গে কিন্তু শারীরিক দূরত্ব রয়েছে আমাদের। সন্তানদের অতিরিক্ত জড়িয়ে ধরা বা খুব আদর করা, এগুলো মা করেননি। কিন্তু তা-ও মা-ই খুব কাছের। মনে আছে, চতুর্থ শ্রেণি থেকে মায়ের সঙ্গে চিঠি লিখে কথা বলতাম। মায়ের মধ্যে দেখা এই গভীরতা চরিত্রের মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছি।”
‘ডিয়ার মা’ ছবিতে জয়াকে ভাবার পিছনে কি কোনও বিশেষ কারণ রয়েছে? প্রশ্ন করতেই পরিচালক অনিরুদ্ধ রায়চৌধুরী বলেন, “এই চরিত্রের জন্য জয়াই সঠিক, এটা ভিতর থেকেই মনে হয়েছিল। অনেক দিন ধরে জয়ার সঙ্গে কাজ করার ইচ্ছে। ‘কড়ক সিং’-এ ওর সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে। ওর অভিনয় আমাকে খুব আকর্ষণ করে। এই ছবিতে জয়া অসাধারণ। টানা তিন মাস এই ছবিতে জয়া আমার সঙ্গে ওয়ার্কশপ করেছে। চরিত্র নিয়ে ও নিজেও অনেক ভেবেছে। ওর অনেকটাই অবদান।”