নেপাল একমাত্র হিন্দুরাষ্ট্র, এখানে কোনও হানাহানি ছিল না। মনীষা কৈরালার এই মন্তব্যে ফের নতুন করে বিতর্ক। বর্তমানে অশান্ত নেপাল। এই দেশের অন্তর্বর্তী সরকারের মাথায় কে বসবেন, তা নিয়ে প্রশ্ন ঘুরছে নানা মহলে। এর মধ্যেই নেপাল সম্পর্কে মনীষার এই মন্তব্য ঘিরে শুরু হয়েছে বিতর্ক।
গত ৮ সেপ্টেম্বর থেকে অশান্ত নেপাল। ছাত্র-যুব আন্দোলনে উত্তাল প্রতিবেশী রাষ্ট্র। সেই আন্দোলনের জেরে শেষ পর্যন্ত পদত্যাগ করেন প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি! এর মধ্যেই নেপালের ভূমিকন্যার এই মন্তব্য নেটপাড়ার চর্চায়। দেশের ধর্মীয় ও রাজনৈতিক পরিচিতি নিয়ে কথা বলেছিলেন মনীষা। অভিনেত্রী দাবি করেছিলেন, নেপাল নাকি প্রথম থেকেই হিন্দু রাষ্ট্র ছিল। মনীষা সেই সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, “নেপাল সমৃদ্ধ হিন্দুরাষ্ট্র ছিল। বামপন্থীরা এসে এই দেশকে ধ্বংস করে দিয়েছে। আমরা হিন্দুরাষ্ট্র হিসেবেই সারা বিশ্বে পরিচিত ছিলাম। আমাদের দেশে কখনও মারামারি হত না। ধর্ম নিয়ে অশান্তি কখনওই হয়নি। এখানে যুদ্ধ হয়নি, এখান হানাহানি হয়নি। সব সময় শান্ত থেকেছে পরিবেশ। কেন শান্তি চলে গেল! এর পিছনে কি কোনও ষড়যন্ত্র রয়েছে?”
আরও পড়ুন:
মনীষার এই মন্তব্য ছড়িয়ে পড়তেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। অনেকেই সমর্থন করেছেন অভিনেত্রীকে। তবে বিরোধিতাও হয়েছে। মনীষার এক অনুরাগী সমাজমাধ্যমে এই ভিডিয়ো ভাগ করে নিয়ে লিখেছেন, “এই কথাগুলো অনেক বছর আগেই মনীষা বলেছিলেন, যার অর্থ আমরা এখন বুঝতে পারছি।”
সম্প্রতি নেপালের অশান্ত অবস্থা দেখে শিউরে উঠেছিলেন অভিনেত্রী। কাঠমান্ডুর রাস্তায় পড়ে থাকা একপাটি রক্তমাখা জুতোর ছবি দিয়ে তিনি লিখেছিলেন, ‘‘এটা নেপালের ইতিহাসে কালো দিন, যখন দুর্নীতির বিরুদ্ধে, ন্যায়বিচারের দাবিতে সাধারণ মানুষের প্রতিবাদী কণ্ঠ থামাতে পাল্টা বুলেট ছোড়া হয়।’’