গত বছর ডিসেম্বরে ব্যবসায়ী শিখর টন্ডনকে বিয়ে করেন অভিনেত্রী পায়েল দেব। অবাঙালি পরিবারে বিয়ে। স্বামী ও স্ত্রী পরস্পরের সংস্কৃতি আগলে নিয়েছেন। তাই এ বার করবা চৌথ পালন করছেন পায়েল।
প্রথম করবা চৌথ পায়েলের। ছোটবেলা থেকে বলিউডের ছবি ও ধারাবাহিকে করবা চৌথ দেখেছেন অভিনেত্রী। তাই এই রীতি নিয়ে ছোট থেকেই তাঁরও মুগ্ধতা ছিল। পায়েল বলেছেন, “ছবিতে দেখার জন্যই এই রীতি নিয়ে অনেকের খুব আগ্রহ রয়েছে।”
জানা যাচ্ছে, বৃহস্পতিবার রাত বারোটার পর থেকে শুরু এই করবা চৌথ। বারোটার পর থেকেই রীতি অনুযায়ী উপোস শুরু করবেন পায়েল। তবে প্রথম বছর বলে, এই রীতির সমস্ত নিয়মকানুন নিয়ে ওয়াকিবহাল নন তিনি। শাশুড়ির থেকে করবা চৌথের নিয়মকানুন শিখছেন তিনি। পায়েল বলেছেন, “শাশুড়ি বলেছেন সুহাগন অর্থাৎ সধবা মহিলাদের সিঁদুর, মঙ্গলসূত্র ও চুড়ি এগুলো পরতে হয়। রাত সাড়ে তিনটে-চারটে নাগাদ ফলাহার করার নিয়ম রয়েছে। সূর্য ওঠার পরে আর কিছু খাওয়া যাবে না। সারাদিন উপোস থাকতে হবে।”
করবা চৌথকে বরাবর ছবির পর্দাতেই দেখে ভাল লেগেছে পায়েলের। বাস্তবে এই রীতি নাকি তাঁর কাছে পরীক্ষার মতো। কারণ হিসেবে অভিনেত্রী বলেন, “আমি আসলে কোনও পুজোতেই খুব একটা উপোস করি না। তাই এই উপোসের বিষয় এলেই সেটা একটা বড় পরীক্ষার মতো মনে হয়। তখন যেন বেশি করে খিদে পায়। সন্ধেবেলা পুজো, অর্থাৎ চন্দ্রদেবতাকে অর্ঘ্য দিতে হয়। সেই সময়েই চালুনি দিয়ে চাঁদকে দেখতে হয়।”
তার পরে আরও এক বার ঘরে পুজো হয়। সব মিটে গেলে তবেই খাওয়া যায়। শ্বশুরবাড়িতে নাকি স্পষ্ট পায়েলকে বলে দেওয়া হয়েছে, নতুন বৌ-এর মতো সেজে সব রীতি যেন নিষ্ঠার সঙ্গে নিয়ম মেনে পালন করেন অভিনেত্রী।
আরও পড়ুন:
করবা চৌথে বিয়ের বেনারসীটাই আরও এক বার পরছেন পায়েল। এই উপলক্ষে মেয়ের জন্য বিশেষ শাড়ি কিনেছেন পায়েলের মা-ও। আর করবা চৌথে চাঁদ দেখার মুহূর্তে স্বামীর থেকেও পাবেন উপহার। সেটা অবশ্য কী, এখনও জানেন না পায়েল। সেই উপহারের জন্য অপেক্ষা করে রয়েছেন অভিনেত্রী।
উল্লেখ্য, ২০২৩-এ পঞ্জাবি মতে ‘রোকা’ (বাগ্দান) সেরেছিলেন পায়েল ও শিখর। ২০২৪-এর ডিসেম্বরে পঞ্জাবি পোশাক ব্যবসায়ীর সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধেন পায়েল। কোভিডের সময় সমাজমাধ্যমে আলাপ দু’জনের। সেখান থেকেই তাঁদের প্রেম ও তার পরে বিয়ে।