একাকিত্বে ভোগার অভিজ্ঞতা রয়েছে প্রিয়ঙ্কা চোপড়ার। বলিউডে সেরার সেরা হয়ে হলিউডে গিয়ে পাকাপাকি জায়গা তৈরি করেছেন অভিনেত্রী। অসংখ্য অনুরাগী তাঁর। কিন্তু একটা সময়ে তিনিও একাকিত্বে ভুগেছেন। কথা বলার মতো কেউ ছিল না পাশে। জাঁকজমক ও ঔজ্জ্বল্যের আড়ালে ঢাকা পড়ে গিয়েছিল তাঁর একাকিত্ব।
২০০৫ সালের এক সাক্ষাৎকারে এই বিষয়ে কথা বলেছিলেন প্রিয়ঙ্কা। তখন প্রিয়ঙ্কার বাবা অশোক চোপড়ার যকৃৎ ক্যানসারের চিকিৎসা চলছিল। অভিনেত্রী বলেছিলেন, “বলিউডে আমার তখন পরিচিত মানুষের সংখ্যা লক্ষ লক্ষ। কিন্তু তাঁদের মধ্যে একটিও বন্ধু ছিল না। এমন কেউ ছিল না, যাঁকে মধ্যরাতে ফোন করা যায় এবং যাঁর কাছে নিজের মন খুলে কথা বলা যায়।”
সেই সময়ে প্রিয়ঙ্কার ঝুলিতে পর পর সফল ছবি ছিল। অভিষেক বচ্চনের সঙ্গে তাঁর ‘ব্লাফমাস্টার’ ছবি প্রশংসিত হয়েছিল। শাহরুখ খান, অক্ষয় কুমার ও হৃতিক রোশনের সঙ্গে পর পর ছবি করেছেন। কিন্তু এত খ্যাতি সত্ত্বেও সেই সময়ে বিনোদন জগতে ভাল বন্ধু তৈরি করতে পারেননি ‘দেশি গার্ল’।
তবে প্রিয়ঙ্কার মধ্যে যে এগিয়ে যাওয়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে তা অনেকেই টের পেয়েছিলেন। প্রযোজক সুনীল দর্শন বলেছিলেন, “আমার অফিসে এসেছিল ও। ১৫ মিনিট ওকে দেখে বুঝে যাই, আমি আরও একটা রেখাকে খুঁজে পেয়েছি। তখন বিশ্বে পরিচিতি পাওয়ার বিষয়টা হয়তো ওর লক্ষ্য ছিল না। তবে ও জানত, হিন্দি ছবিতে ও বড় তারকা হয়ে উঠবে।”