শুটিং করতে গিয়ে আগুনে পুড়ে গিয়েছিলেন বাংলাদেশি অভিনেত্রী। — ফাইল চিত্র।
গত ২৮ জানুয়ারি শুটিং সেটে শর্ট সার্কিট হয়ে দুর্ঘটনায় শরীরের ৩৫ শতাংশ অগ্নিদগ্ধ হয়েছিল বাংলাদেশি অভিনেত্রী শারমিন আঁখির। দু’মাস তাঁর চিকিৎসা চলে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে। এখন সুস্থ শারমিন। ২৯ তারিখ ছাড়া পেয়েছেন হাসপাতাল থেকে। কিন্তু ২৮ মার্চ এক সাংবাদিক সম্মেলনে অভিনেত্রীর কণ্ঠে ঝরে পড়ল হতাশা। অভিমান ভরে জানালেন, মরে গেলেই ভাল হত।
সঙ্কটের সময়ে পাশে পাননি প্রযোজনা সংস্থাকে, তেমন ভাবে খোঁজখবর রাখেননি সহ-অভিনেতারাও। অনেকে আবার তাঁকেই দুর্ঘটনার জন্য দায়ী করেছেন। তাঁদের বক্তব্য, নায়িকা ধূমপান করেছিলেন বলেই সেটে আগুন লাগে। শিল্পের জন্য অনেকটা মূল্য চোকাতে হয়েছে তাঁকে।
শারমিন বললেন, “কাজটাই যদি জীবন হয়, তবে এর চেয়ে বেশি কী ভাবে মূল্য দেওয়া যায়, আমি জানি না। একলা আমি আর কী ভাবে লড়াই করব? আমি মরে গেলে হয়তো এত দিনে সবাই সোচ্চার হতেন। তা হলে মরে গেলেই ভাল হত।”
শারমিন ভাবছেন, তাঁর মৃত্যু হলে হয়তো মানুষের মনে সহানুভূতি জাগত। অভিনয়শিল্পীরা এত দিনে এক হয়ে প্রতিবাদ করতেন, মানববন্ধন করে সবাই একত্রিত হতেন বলে বিশ্বাস। অভিনেত্রীর প্রশ্ন, “আমরা আমাদের শিল্পীদের প্রাণের নিরাপত্তা কি দিতে পেরেছি? আর কী কী ঘটনা ঘটলে একটা দৃষ্টান্তমূলক সিদ্ধান্ত হবে? শিল্পীদের আন্দোলন শুরু হবে কবে?”
চিকিৎসকদের ধন্যবাদ জানালেও শারমিনের অভিযোগ, আইসিইউ-তে থাকাকালীন নানা ধরনের খবর রটেছে সংবাদমাধ্যম। সে সব বেদনাদায়ক। অভিনেত্রী ক্ষোভ উগরে বললেন, “অনেকে বলেছেন, আমি ধূমপান করছিলাম তাই এ ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু সে দিন এমন কোনও ঘটনাই ঘটেনি। সেই থেকে এখনও পর্যন্ত ওই শুটিং হাউস আমার কোনও খোঁজ নেয়নি।”
তবে শারমিন জানান, সব সময় তাঁর পাশে ছিলেন স্বামী রাহাত। তাই মনের জোরে এখন উঠে বসেছেন। কিন্তু আগের মনটা কি ফিরে পাবেন আর? আশপাশের মানুষদের নতুন করে চিনছেন যে শারমিন!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy