সাত পুরুষের কেউ বিনোদন দুনিয়ার সঙ্গে যুক্ত নন। পরিবারের প্রত্যেকে উচ্চশিক্ষিত। তাঁদের কাছে পড়াশোনাই ছিল মুখ্য। শেফালি জ়ারিওয়ালার কাছেও একটা সময় পর্যন্ত তাই-ই ছিল। ‘কাঁটা লগা’ রিমিক্স নিমেষে তাঁর জীবনটাই বদলে দিল। কী ভাবে? মৃত্যুর আগে এক সাক্ষাৎকারে এ কথা নিজেই জানিয়েছিলেন অভিনেত্রী। তাঁর কথায়, “হাতখরচের প্রয়োজন। কী ভাবে জোগাড় করব? তখনই মিউজ়িক ভিডিয়োয় কাজের জন্য ডাক পাই।”
শেফালি তখন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্রী। একদিন বন্ধুদের সঙ্গে কলেজের বাইরে ঘুরছিলেন। হঠাৎ তাঁকে ডাকেন ‘কাঁটা লগা’ মিউজ়িক ভিডিয়োর পরিচালকজুটি রাধিকা রাও আর বিনয় সাপ্রু। তাঁরা অনেক ক্ষণ লক্ষ্য করছিলেন তাঁকে। তিনি সামনে গিয়ে দাঁড়াতেই রাধিকা অভিনয়ের কথা বলেন। পুরনো এক সাক্ষাৎকারে শেফালি বলেন, “বিষয়টি আমার কাছ যতটা মজার ততটাই উত্তেজনার। আবার হাতখরচও দরকার। সব মিলিয়ে সিদ্ধান্ত নিলাম, একটা কাজ করে তো দেখি!”
আরও পড়ুন:
বাড়ির কাউকে না জানিয়েই তিনি রাজি হলেন। লতা মঙ্গেশকর গাওয়া বিখ্যাত গানের রিমিক্স ভিডিয়োয় অভিনয় করলেন। ভাবেননি, সেই ভিডিয়ো রাতারাতি ভাইরাল হবে! হিন্দি পপ দুনিয়া তাঁকে ঘিরে আবর্তিত হতে থাকবে। শেফালির কথায়, “আমার সাতপুরুষের কেউ কোনও দিন অভিনয় করেননি। তাঁরা প্রত্যেকে উচ্চশিক্ষিত। আমি শিক্ষিত পরিবারের সন্তান। আমিও পড়াশোনা শেষ করেছি।” কিন্তু ওই সাফল্য তাঁকে আর অন্য কোনও দিকে তাকাতে দেয়নি। অভিনেত্রী তার পর থেকেই লাইট-সাউন্ড-ক্যামেরা-অ্যাকশনের দুনিয়ায়। ঝুলিতে ৩৫টি মিউজ়িক ভিডিয়ো। বড় পর্দায় পা রাখেন ‘মুঝসে শাদি করোগে’ ছবি দিয়ে। যদিও সিনেমায় তিনি তেমন প্রভাব ফেলতে পারেননি।