যতই গ্রীষ্মে জন্ম হোক তাঁর, হাঁসফাঁস করতে করতে প্রতি বছর আগের রাত থেকে উদ্যাপন শুরু। যতই মা-বাবাকে অনুযোগ করুন, “আমায় তো শীতকালেও আনতে পারতে! মন খুলে হুল্লোড়ে মাততাম।” তবু আনন্দ, উল্লাস হয়েই থাকে। এ বছর স্বস্তিকা দত্তের জন্মদিনে নিরীহ পর্যটকদের মৃত্যুর ক্ষত। পহেলগাঁও সন্ত্রাসবাদের চেহারা দেখে মনখারাপ তাঁর। আনন্দবাজার ডট কমকে অভিনেত্রী জানালেন, মঙ্গলবার রাতে তাঁর চোখে ঘুম নামেনি। বুধবার জন্মদিনের আনন্দ ম্লান গুলির শব্দ, পর্যটকদের আর্তচিৎকারে।
মঙ্গলবার অভিনেত্রীর মঞ্চানুষ্ঠান ছিল। ইদানীং অনুরাগীরা তাঁদের পছন্দের অভিনেতা-অভিনেত্রীদের জন্মদিন নিয়েও সজাগ। এই ধরনের অনুষ্ঠানে তাই মঞ্চেই কেক কাটার আয়োজন থাকে। অভিনেতা-অভিনেত্রীর হাত ভরে ওঠে নানা উপহারে। “আমার ক্ষেত্রে সে রকম কিছুই হয়নি। কারণ, নিজের জন্মদিন পারতপক্ষে কাউকে জানাই না”, বললেন স্বস্তিকা। মঞ্চানুষ্ঠান করতে করতেই কানে এসেছে হত্যালীলার কথা। তখন থেকেই অন্যমনস্ক তিনি।
আরও পড়ুন:
জন্মদিনে তাই এ বছর সে রকম কোনও উপহার নেননি। মা চেয়েছিলেন মেয়েকে নিজের হাতে পাঁঠার মাংস রেঁধে খাওয়াবেন। তাতেও বাদ সেধেছেন অভিনেত্রী। দুপুরে তাঁর পাতে ছিল ভাত, মুরগির মাংসের পাতলা ঝোল আর পায়েস। বুধবার কাজ থেকে ছুটি নিয়েছিলেন। এটুকুই যা ব্যতিক্রম। “আর কয়েক দিন পরে হইচই ওয়েব প্ল্যাটফর্মের নতুন সিরিজ় ‘আতঙ্ক’-এর শুটিং শুরু হবে। তার আগে তাই এক দিন ছুটি নিলাম”, বক্তব্য স্বস্তিকার।