বয়স সংখ্যামাত্র। প্রেমে পড়ার বা জীবনসঙ্গী খুঁজে নেওয়ার কোনও নির্দিষ্ট বয়স হয় না। প্রমাণ করে দিয়েছেন দিলীপ ঘোষ। শুক্রবার সন্ধ্যায় ঘরোয়া আবহে রিঙ্কু মজুমদারের সঙ্গে নিজের জীবন বেঁধে নিয়েছেন বিজেপি নেতা। রিঙ্কুও বিজেপি কর্মী। ২৫ বছরের এক পুত্র রয়েছেন তাঁর। বিয়ের খবর ছড়িয়ে পড়তেই শুভেচ্ছা জানিয়েছেন অনেকে। তবে তারই সঙ্গে ধেয়ে এসেছে কটাক্ষ।
দুঁদে রাজনৈতিক ভাবমূর্তি রয়েছে দিলীপের। একই সঙ্গে বিতর্ক তাঁর নিত্যসঙ্গী। নিজের মন্তব্যের জন্য একাধিক বার সমালোচনার মুখে পড়েছেন। তাই তাঁর প্রেমের আখ্যানে অবাক হয়েছেন অনেকেই। সুখ্যাতিও পেয়েছেন। কিন্তু ৬১ বছর বয়সে বিয়ের জন্য বাক্যবাণ ছুটে এসেছে তাঁর দিকে। কখনও বলা হচ্ছে, “এ বার তাঁর মাথা ঠান্ডা হবে।” আবার কখনও বলা হচ্ছে, “এ বার অন্তত বাড়িতেই নিজের শক্তি প্রদর্শন করতে পারবেন তিনি।”
বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতির বিয়ে নিয়ে উষসী বলেন, “ওঁকে অভিনন্দন জানানো ছাড়া কিছুই বলার নেই। তবে কটাক্ষ বা তির্যক মন্তব্য নিয়ে একটা কথাই বলার, বিয়েটা তো ব্যক্তিগত বিষয়। এখানে তো সমাজের এত মাথা ঘামানোর কথা নয়।”
আরও পড়ুন:
অভিনেত্রীর রাজনৈতিক মতামত সকলেরই জানা। বাম নেতার কন্যা উষসী নিজেও বাম সমর্থক। তিনি বলেন, “দিলীপ ঘোষের রাজনীতি অনেকেই পছন্দ করেন না। সেই অপছন্দটাই তির্যক মন্তব্যের মধ্যে দিয়ে প্রতিফলিত হচ্ছে। ওঁর রাজনীতি আমিও পছন্দ করি না। আমি মনে করি, ওঁর রাজনীতি দেশের জন্য মোটেই ভাল নয়। আমাদের দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির পক্ষে ওঁর রাজনীতি মোটেই স্বাস্থ্যকর নয়। কিন্তু ব্যক্তিগত জীবনে তিনি কী করবেন, কত বছর বয়সে বিয়ে করবেন, এই নিয়ে কারও কিছু বলার থাকতেই পারে না। বিয়ের কোনও নির্দিষ্ট বয়স আছে বলে আমি মনে করি না। এটা সম্পূর্ণ ওঁর সিদ্ধান্ত।”
উষসী আরও বলেন, “বিয়ে করে কেউ ভাল থাকে। কেউ খারাপ থাকে। সবাই আসলে ভাল থাকার চেষ্টা করে। আমি নিজে বিয়ে না করে সুখে আছি।” দিলীপ ঘোষের বিয়ে নিয়ে আলোচনার থেকে তাঁর রাজনীতি নিয়ে প্রশ্ন তোলা বেশি জরুরি বলে মত অভিনেত্রীর। তাই তিনি, “বিয়েটা একান্ত ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। তাই কিছু বলার নেই। বরং ওঁর রাজনীতি নিয়ে আমরা আর একটু সন্দিহান হলে এবং ওঁর যে মতাদর্শ সেটা আমরা বর্জন করতে পারলে বরং ভাল হয়।”