মৈনাক ভৌমিকের ছবি ‘বাৎসরিক’ কয়েক যুগ পরে বড় পর্দায় ফিরিয়ে এনেছে শতাব্দী রায়কে। সেই শতাব্দী রায়, যাঁর অভিনয়ক্ষমতা তপন সিংহের ‘আতঙ্ক’, ‘অন্তর্ধান’ ছবিতে প্রমাণিত। ‘গুরুদক্ষিণা’, ‘অমর বন্ধন’-এর মতো সফল বাণিজ্যিক ছবি তাঁকে দিয়েছে জনপ্রিয়তা। এত বছর পরে বড় পর্দায় ফিরে তিনিও খুব খুশি, নতুন ছবির মুক্তির আগে আনন্দবাজার ডট কমকে জানিয়েছিলেন সাংসদ-অভিনেত্রী।
এ বার তিনি ছোট পর্দাতেও। সম্প্রতি, নিজের ছবি প্রচারের জন্য যোগ দিয়েছিলেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘দিদি নম্বর ১’ রিয়্যালিটি শো-তে। সেই প্রসঙ্গ তুলতেই আনন্দ লুকোতে পারেননি শতাব্দী। বললেন, “রচনার সঙ্গে আমার দীর্ঘ দিনের বন্ধুত্ব। ছবির শুটিং উপলক্ষে একসঙ্গে অনেক ভাল সময় কাটিয়েছি। ওর সেটে এসে সে গুলোই মনে পড়ছিল।”
দু’জনেই শাসকদলের সাংসদ। সেই তকমা সরিয়ে দুই ভাল বন্ধু কি অনেক আড্ডা দিলেন?
জানতে চেয়েছিল আনন্দবাজার ডট কম। শতাব্দীর কণ্ঠে একটু কি আফসোস? বললেন, “আড্ডা দেওয়ার মতো সময় কই! প্রথমত, রচনা জানতই না আমি যাচ্ছি। দেখে আকাশ থেকে পড়েছে। তার পর খুশিতে আত্মহারা। শুটিং করতে করতে যতটা কথা বলা সম্ভব ততটাই বলেছি। আমারও এই শুটিং সেরে অন্যত্র প্রচারে যাওয়ার ছিল।” আড্ডা না জমলেও ‘দিদি নম্বর ১’-এ মজার খেলা খেলে দারুণ ভাল লেগেছে তাঁর। “একটু ভয় ভয়ও করছিল। প্রতিযোগীদের কানে গান বাজবে। সেই অবস্থায় আমার ঠোঁট নাড়া দেখে ওঁদের বলতে হবে আমি কি বলছি।” তিনি ঠিক মতো না বলতে পারলে প্রতিযোগীরা বুঝতেই পারবেন না, এই ভয়েই নাকি কাঁটা হয়ে ছিলেন শতাব্দী!
আরও পড়ুন:
ছোট পর্দায় তা হলে আগামী দিনে আসছেন? অভিনেত্রীর এ রকম কোনও ভাবনা নেই এ মুহূর্তে। রাজনীতি নিয়েই প্রচণ্ড ব্যস্ত। ভাল চিত্রনাট্য বা চরিত্র পেলে আবারও হয়তো বড় পর্দায় ফিরতে পারেন। আপাতত এই পর্যন্ত ভাবনা তাঁর। শতাব্দীর মতোই রচনাও কয়েক যুগ বড় পর্দা থেকে দূরে। প্রিয় বন্ধুকে বড় পর্দায় ফেরার অনুরোধ জানালেন? শতাব্দী-রচনা কি আবারও একসঙ্গে পর্দায় ধরা দেবেন?
ফোনের ও পারে এ বার জোরে হাসি। ছবির প্রচার সারতে সারতেই বললেন, “শুক্রবার প্রিমিয়ার গেল। প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, দেবশ্রী রায় এসেছিলেন। আমাদের তিন জনকে একসঙ্গে পেয়ে উপস্থিত সমস্ত সাংবাদিকদের একটাই কৌতূহল, আমরা কি আবার একসঙ্গে পর্দায় ফিরব?” অভিনেত্রী খুশি, এই প্রজন্ম তাঁদের কাজ আবার দেখতে চায়। ভাললাগার সেই রেশ ছড়িয়ে গেল তাঁর পরের কথাতেও। “একা রচনা কেন, ভাল চরিত্র পেলে যাঁরা অনেক দিন বড় পর্দা থেকে দূরে তাঁরাও ছবিতে কাজ করতে চাইবেন।”