অক্ষয় কুমার। ছবি: সংগৃহীত।
বলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় ও সফল তারকা তিনি। ব্যবসার নিরিখে তাঁর ঝুলিতে হিট ছবির সংখ্যাই বেশি। ভারতের নাগরিক তিনি, তবে ‘কানাডা কুমার’ নামেই বেশি পরিচিতি তাঁর। যদিও গত কয়েক মাস ধরে আর কানাডার কুমার নন তিনি, বরং তাঁর নতুন তকমা ‘ভারত কুমার’। গত অগস্ট মাসেই ভারতের পাসপোর্ট হাতে পেয়েছেন অক্ষয় কুমার। এত বছরের কানাডার নাগরিকত্ব ছেড়ে ভারতের নাগরিকত্ব গ্রহণ করেছেন বলিউডের ‘খিলাড়ি’। গত ১৫ অগস্ট সেই খবর সমাজমাধ্যমের পাতায় সবার সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছিলেন তারকা। তবে কি কানা়ডার নাগরিকত্ব ছাড়ার জন্য তাঁর উপর চাপ সৃষ্টি করা হয়েছিল? এত দিনে নাগরিকত্ব বদলের আসল গল্প ফাঁস করলেন অভিনেতা।
নব্বইয়ের দশকে একের পর এক ছবি বক্স অফিসে মুখ থুবড়ে পড়ার ফলে হতাশায় ভুগছিলেন অক্ষয়। সেই সময় বন্ধুদের পরামর্শে নতুন পেশার খোঁজ করছিলেন তিনি। তখন কানাডার এক বন্ধু তাঁকে ব্যবসার প্রস্তাব দেন। নিজের ভাগ্য বদলাতে দেশ ছেড়ে বিদেশে যাওয়ার কথা ভেবেওছিলেন অক্ষয়। তখনই কানাডার নাগরিকত্বের জন্য আবেদন জানিয়েছিলেন অভিনেতা। নাগরিকত্ব পেয়েও যান তিনি। এত দিন কাগজেকলমে কানাডারই নাগরিক ছিলেন তিনি। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে অক্ষয় জানান, কাকতালীয় ভাবেই চলতি বছরের স্বাধীনতা দিবসে ভারতীয় পাসপোর্ট হাতে পান তিনি। অক্ষয় বলেন, ‘‘আমি মনেপ্রাণে ভারতীয়। যখন ভাগ্য সঙ্গ দেয়নি, তখন ভেবেছিলাম বিদেশে যাব। কিন্তু এই দেশ ও দেশের মানুষ আমাকে যা দিয়েছেন... আমি কোনও দিন ভারত থেকে দূরে যাইনি। এমনকি, আমার যখন কানাডিয়ান নাগরিকত্ব ছিল, তখনও আমি এ দেশেই আয়কর জমা দিতাম। আমি তো সেই সময় দেশে সবচেয়ে বেশি অঙ্কের আয়কর জমা দিয়েছি। আমি ভারতের নাগরিকত্বের জন্যও আবেদন জানিয়েছিলাম আগেই। অতিমারির জন্য গোটা প্রক্রিয়ায় দেরি হয়। অদ্ভুত ভাবে, চলতি বছরের স্বাধীনতা দিবসে আমি ভারতীয় পাসপোর্ট হাতে পাই।’’
ভারতীয় হিসাবে গর্বিত অক্ষয়, এ কথা পর্দায় ও ক্যামেরার সামনে একাধিক বার নিজমুখে স্বীকার করেছেন তিনি। দেশের প্রতি সেই আবেগ থেকেই নাকি ছবিও নির্বাচন করেন তিনি। এত দিনে দেশের পাসপোর্ট হাতে পেয়ে গর্বে বুক ফুলে ওঠে অক্ষয়ের। অভিনেতার কথায়, ‘‘আজকাল বিদেশের মাটিকে ভারতীয় পাসপোর্ট দেখালে যে সম্মান পাই, তাতে মাথা আরও উঁচু হয়ে যায়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy