বৃহস্পতিবার সন্ধেয় শাসকদলের নেতা-মন্ত্রী, এক ঝাঁক তারকার সামনে সম্মানিত ধারাবাহিক ‘খড়কুটো’র ‘পটকা’। কালো পাঞ্জাবিতে সেজে মঞ্চে চরিত্রাভিনেতা অম্বরীশ ভট্টাচার্য। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর গলায় সাদা-সবুজ উত্তরীয় পরিয়ে হাতে রাজ্য সরকারের টেলি অ্যাকাডেমি স্মারক তুলে দিতেই ক্যামেরার ঝলকানি। লীনা গঙ্গোপাধ্যায়ের এই ধারাবাহিক দু’হাত ভরে দিয়েছে অম্বরীশকে। জনপ্রিয়তা, খ্যাতি, দর্শকদের ভালবাসা এবং সরকারি সম্মান। এত জনপ্রিয় হবে চরিত্রটি, বুঝেছিলেন অম্বরীশ?
অভিনেতা বরাবরের সোজা-সাপটা। আনন্দবাজার অনলাইনকে আন্তরিক ভাবেই বলেছেন, ‘‘শুরুতে না বুঝলেও দু’মাসের মধ্যে ‘পটকা’ বুঝিয়ে দিয়েছে সে দর্শকের কাছে কতটা প্রিয়। এত ভাল চরিত্র আমিও এর আগে পাইনি। এক দিকে খুবই সহজ-সরল, আমুদে। অন্য দিকে, তাঁর স্পষ্ট কথায় কষ্ট নেই। দুইয়ের মিশ্রণ ঘটায় চরিত্রটি ভাল অভিনয়ের সুযোগ করে দিয়েছে।’’
অম্বরীশ এখানেই থামেননি। তাঁর আরও দাবি, শুধু সরকারি সম্মান বলে নয়, রাজ্য সরকার ছোট পর্দার শিল্পী-কলা কুশলীদের নিয়ে ভাবছেন বলে তিনি বেশি খুশি। ‘পটকা’র কথায়, ‘‘আমাদের ক্ষোভ ছিল, আগের সরকার ছোট পর্দার শিল্পীদের জন্য কখনও কিছু ভাবেনি। অথচ, টেলি ইন্ডাস্ট্রি অর্থনৈতিক দিক থেকে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই সরকার ভেবেছে। সম্মান, পুরস্কার হাতে তুলে দিচ্ছে। আমরা খুশি।’’ সরকারি সম্মান পাওয়া কি তবে শাসকদলের সম্মান পেয়ে তার সু’নজরে থাকার নামান্তর? ধারাবাহিক ‘রাজা অ্যান্ড গজা’র ‘গজা’র মতে, শাসকদলের সু’নজরে থাকা বা থাকার চেষ্টা তো অন্যায় নয়!