‘কৌন বনেগা ক্রোড়পতি ১৭’-র সেট। একটি পর্বের শুটিং চলছে। প্রতিযোগীর আসনে বসা ১০ বছরের ঈশিত ভট্ট ক্রমাগত ঔদ্ধত্য প্রকাশ করে চলেছে। নিজেকে অহেতুক জাহির করে চলেছে। আর উল্টো দিকে তার মুখোমুখি বসে অমিতাভ বচ্চন। দর্শকাসনে কিশোরের এ হেন আচরণে অস্বস্তিতে তো নয়ই, বরং উৎফুল্ল ছেলেটির মা-বাবা। সঞ্চালকের আসনে বর্ষীয়ান অভিনেতাও কি পুরো বিষয়টি উপভোগ করেছেন?
পর্বের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত শান্ত অমিতাভ। এক এক সময় এটাও দেখা গেল, অমিতাভ নিজের কপালে আঙুল ছুঁইয়ে নিজেকে শান্ত রাখার চেষ্টা করছেন। তবু কখনও কখনও তাঁর মুখও থমথমে হয়ে পড়ছে। ধীরস্থির হয়ে গম্ভীর মুখে প্রশ্নোত্তরের পালা এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। কখনও স্মিত হাসিতে অস্বস্তিকর পরিস্থিতি সামাল দিয়েছেন।
মোদ্দা কথা, কখনও মেজাজ হারাননি পর্দার ‘অ্যাংরি ইয়ং ম্যান’। খুদে প্রতিযোগীকে বাধা দেওয়া বা থামানোর চেষ্টাও করেননি। উল্টে যতক্ষণ ঈশিত ছিল ততক্ষণ তিনি সহযোগিতা করে গিয়েছেন। অমিতাভের ধৈর্য দেখে এ বার তাঁকে প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছেন অনুরাগীরা। তাঁদের মতে, বর্ষীয়ান অভিনেতার জায়গায় অন্য কেউ থাকলে হয়তো প্রতিক্রিয়া জানিয়ে ফেলতেন। এই বয়সে এই সংযম প্রশংসার যোগ্য।
আরও পড়ুন:
নিন্দকেরা অবশ্য চুপ করে বসে নেই। তাঁদের পাল্টা যুক্তি, ১০ বছরের এক কিশোর প্রতিযোগিতায় এসে বর্ষীয়ান অভিনেতার সঙ্গে এ হেন আচরণ করছে, সেটা বিশ্বাসযোগ্য? একই ভাবে অমিতাভের এত ধৈর্যও যেন অস্বাভাবিক! তাঁদের অনেকের প্রশ্ন, পুরোটাই রেটিং চার্টে নম্বর তোলার কৌশল নয় তো? অনেক সময়েই দর্শক টানতে এই ধরনের ‘স্ক্রিপ্টেড’ পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। অনেকে আবার রসিকতা করে বলেছেন, এই সময় জয়া বচ্চনের প্রয়োজন ছিল। তিনি থাকলে পুরোটা সামলে নিতেন।