অমিতাভ বচ্চনের ক্যুইজ় অনুষ্ঠান ‘কৌন বনেগা ক্রোড়পতি’-র প্রতিযোগী আসনে এ বার দেখা যাবে দুই ভারতীয় সেনা আধিকারিককে। আর তা নিয়েই উস্কে উঠল বিতর্ক।
জানা গিয়েছে, স্বাধীনতা দিবসের বিশেষ পর্বে হটসিটে বসছেন ‘অপরেশন সিঁদুর’-এর দুই মুখ সেনা আধিকারিক কর্নেল সোফিয়া কুরেশি ও বায়ুসেনার উইং কমান্ডার ব্যোমিকা সিংহ। তাঁদের সঙ্গে যোগ দেবেন ভারতীয় নৌ সেনা যুদ্ধজাহাজের প্রথম মহিলা আধিকারিক প্রেরণা দেওসথালি।
আরও পড়ুন:
গত এপ্রিলে কাশ্মীরের পহেলগাঁও-এ জঙ্গিহানায় মৃত্যু হয় ২৫ জন ভারতীয় নাগরিকের। তার পরই পাল্টা অভিযান চালায় ভারত— ‘অপারেশন সিঁদুর’। তার পরই সাংবাদিক সম্মেলনে বক্তব্য রেখেছিলেন সেনার দুই মহিলা আধিকারিক— ব্যোমিকা ও সোফিয়া। ওই অভিযানের সঙ্গে এই দুই আধিকারিক যুক্ত ছিলেন বলে জানানো হয়।
যদিও প্রথম থেকেই পহেলগাঁও কাণ্ডের পর ভারতের পদক্ষেপ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে দেশের বিরোধী দলগুলি। ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর তাৎপর্যতা বা বাস্তবতা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। এ বার টিভি রিয়্যালিটি অনুষ্ঠানে ভারতীয় সেনার তিন নারীকে দেখে দর্শমহলে নতুন করে প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে। অনেকেই বলতে শুরু করেছেন, ভারতীয় সেনাবাহিনীকে ‘জনসংযোগ’ হিসাবে ব্যবহার করা হচ্ছে ‘রাজনৈতিক ফায়দা লোটা’র চেষ্টায়।
ইতিমধ্যেই প্রকাশ্যে অনুষ্ঠানের প্রকাশ ঝলক। সেখানে শোনা যাচ্ছে সোফিয়া বলেছেন, ‘‘বার বার পাকিস্তান সন্ত্রাসবাদী হামলা করেই চলছিল। একটা জবাব দেওয়ার প্রয়োজন ছিল। সেই জন্য ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর প্রয়োজন ছিল।’’ সোফিয়ার কথা শুনেই অমিতাভের কণ্ঠে বার বার ধ্বনিত হয়েছে ‘বন্দেমাতরম’।
গত ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে পর্যটকদের উপর জঙ্গি হামলার ঘটনায় ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। অভিযোগ, পর্যটকদের ধর্মপরিচয় জিজ্ঞাসা করে বেছে বেছে খুন করা হয়। ওই ঘটনায় পাকিস্তানকে দায়ী করে একাধিক পদক্ষেপ করে ভারত। ঘটনার দিন কয়েকের মধ্যেই পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরের বেশ কিছু অংশে প্রত্যাঘাত করে ভারত। ভারতীয় সেনার দাবি, পাকিস্তানের ন’টি জায়গায় হামলা চালানো হয়েছে। জঙ্গিঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।