Advertisement
E-Paper

আমি দিল্লির গুন্ডা

তাই কাস্টিং কাউচের প্রশ্ন ওঠেনি তাঁর সঙ্গে। বললেন হুমা কুরেশিতাই কাস্টিং কাউচের প্রশ্ন ওঠেনি তাঁর সঙ্গে। বললেন হুমা কুরেশি

অরিজিৎ চক্রবর্তী

শেষ আপডেট: ২৬ মে ২০১৭ ১০:২৫

প্র: ‘গ্যাংস অব ওয়াসেপুর’, ‘দেড় ইশকিয়া’, ‘বদলাপুর’, ‘জলি এলএলবি টু’... এত ভাল অভিনয় করার পরও আপনাকে নিয়মিত দেখা যায় না। বলিউড কি আপনার প্রতি অবিচার করল?

উ: এই রে, প্রথমেই শক্ত প্রশ্ন (হাসি)। কাউকে দোষ দিতে চাই না। আমিই হয়তো একটু আলসে। লোকজনের কাছে গিয়ে কাজ চাইতে পারি না। তবে নিজের কেরিয়ার গ্রাফে আমি বেশ খুশি।

প্র: সেটা কি রজনীকান্তের সঙ্গে নতুন ছবিটার জন্য বলছেন?

উ: হা হা হা... হলিউড রিলিজও তো আছে। গুরিন্দর চড্ডার ‘ভাইসরয়েস হাউজ’। পার্টিশনের ব্যাকগ্রাউন্ডে একটা ভালবাসার গল্প। ভাইসরয় মাউন্টব্যাটনের বাড়ির দুই কাজের লোকের প্রেম...

প্র: তা, প্রেমের মাঝে ভূতের ছবিতে কেন?

উ: অফারটা আসে ‘ওকুলাস’ ছবির প্রযোজকদের থেকে। ওরা চাইছিল হিন্দিতে ওই ছবিটার অফিশিয়াল রিমেক করতে। আপনাদের বাংলাতেও তো ভূতের সিনেমা খুব জনপ্রিয়। তবে হিন্দিতে ভূতের সিনেমা মানেই কিন্তু প্যায়াসি চুড়েল, রামু কাকা মার্কা ছবি। ওগুলোকে সেক্স হরর বলা ভাল। দর্শক ছবি দেখে ভয়ে ভয়ে নয়, বেরোয় হাসতে হাসতে। তাই সাকিব যখন ‘ওকুলাস’-এর প্রস্তাবটা নিয়ে আসে, ‘না’ করিনি। ভাইয়ের সঙ্গে কাজ করাও হবে। সারা দিন খুনসুটি চলে আমাদের। আবার বয়ফ্রেন্ডের সমস্যা নিয়ে পরামর্শও দেয়...

প্র: অনুরাগ কাশ্যপ বা সোহেল খান নিয়ে কী পরামর্শ দিলেন?

উ: উফ্! কোথা থেকে পান বলুন তো এই সব আজেবাজে খবর? যার সঙ্গে কাজ করব, তার সঙ্গেই প্রেম করতে হবে নাকি! নায়িকার বয়ফ্রেন্ড মানেই বিখ্যাত কোনও নাম হতে হবে! আর পরামর্শ দিলেও, সেটা আপনাকে বলব কেন? আপনাকে কিন্তু ‘ভাই’ বলে ডাকব এ বার (হাসি)!

প্র: বলুন, মধ্যবিত্ত পরিবারের ইতিহাস অনার্সের মেয়ের সিনেমা জগতে আসতে কতটা শক্ত?

উ: ভীষণ শক্ত। স্বজনপোষণের কথা অস্বীকার করে তো লাভ নেই। ওটা সব জায়গায় থাকবে। যখন যেমন কাজ পেয়েছি, করেছি। বাবা একেবারে রাজি ছিল না।
বাবার ইচ্ছে ছিল, এমবিএ করে আমি একটা চাকরিবাকরি করি। তবে এখন বেশ খুশি।

প্র: গডফাদার ছাড়া বলিউডে তো সমস্যায় পড়তে হয়...

উ: আপনি কাস্টিং কাউচ মিন করছেন তো? হয়তো আছে। আমাকে সেটার সামনাসামনি হতে হয়নি। দিল্লি ইউনিভার্সিটির গার্গী কলেজে পড়েছি। গার্লস কলেজ। দিল্লির গুন্ডা ছিলাম আমি। সেই অ্যাটিটিউডটা চেহারায় ধরা পড়ে। তাই হয়তো ও সব প্রস্তাব দেওয়ার সাহস পায়নি কেউ।

প্র: কিন্তু চেহারা নিয়ে তো অনেক কথা শুনতে হয়েছে?

উ: তাতে কী! সে তো হাতি রাস্তা দিয়ে গেলে কুকুররা ঘেউঘেউ করেই (হাসি)! আর আমাকে তো হাতিই বলা হতো। কিন্তু এখন দেখছেন তো, এই রকম একটু ভারী ফিগারটাকে ‘সেক্সি’ বলা হচ্ছে। ও সব জিরো ফিগার-টিগার হাওয়া হয়ে গিয়েছে।

প্র: আপনার আদি বাড়ি তো লখনউ। তাই কি ফুডি?

উ: হতে পারে। আমাদের ফ্যামিলির একটা রেস্তোরাঁও রয়েছে। বেশি খাওয়ার অভ্যেস ছোটবেলা থেকেই। তবে লখনউ বলতে লোকে কাবাব আর বিরিয়ানির কথা ভাবে। আমি বরং লখনউয়ের ভেজ খাবারের বেশি ফ্যান। আর চাট। ওটা মিস করার মতো অপরাধ আর হয় না। ‘দেড় ইশকিয়া’ আর ‘জলি এলএলবি টু’-এর শ্যুটিংয়ে এসে আমি তো মাথায় ওড়না জড়িয়ে হোটেল থেকে বেরিয়ে চাট খেতে যেতাম।

প্র: অক্ষয়কুমার জাতীয় পুরস্কার পেলেন। আপনার লোভ হয় না?

উ: অক্ষয়ের মতো ডেডিকেটেড অভিনেতা খুব কম দেখেছি। ওর অনেক আগেই পাওয়া উচিত ছিল। তা বলে পুরস্কারের কথা মাথায় রাখলে তো অক্ষয় অনেক দিন আগে কাজ বন্ধ করে বাড়ি বসে থাকত। অন্যের কাছ থেকে স্বীকৃতির আশায় বসে থাকলে, আসল কাজটাই হয় না।

প্র: কানের রেড কার্পেটে আর তো দেখা গেল না আপনাকে।

উ: আমি তো ‘গ্যাংস অব ওয়াসেপুর’ ছবির প্রচারে গিয়েছিলাম। এ বার যারা গিয়েছে, শ্রুতি হাসন ছাড়া আর কেউ তো ছবির জন্য গিয়েছে বলে শুনিনি (হাসি)!

প্র: সোশ্যাল মিডিয়াও কি শুধু ছবির প্রচারে?

উ: আবার কী! কাজ নেই কম্মো নেই, সোশ্যাল মিডিয়ায় খামোখা পোস্ট করব কেন? আমার মাথা অলসও না, তাই শয়তানের বাসাও না...

প্র: ইনস্টাগ্রামে ছবি দিলে আপনার বয়ফ্রেন্ড সম্বন্ধে জানতে পারতাম...

উ: এখন আমার রিলেশনশিপ স্টেটাস: সিঙ্গল। সেটা পাল্টালে ঠিক জানাব ভাই (হাসি)!

Celebrity Interview Huma Qureshi
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy