Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

কেন তুলে নেওয়া হল ছবি? আইনের পথে ‘ভবিষ্যতের ভূত’

অনীক এ দিন জানান, আর্থিক ক্ষতির বিষয়টি মাথায় রেখে বিকল্প ভাবনা শুরু হয়েছে, তবে স্পষ্ট কোনও পরিকল্পনা এখনও হয়নি।

আপাতত বিভিন্ন হলে যাতে ছবিটা চালু করা যায় সেই চেষ্টাই হচ্ছে। জানিয়েছেন এ ছবির পরিচালক অনীক দত্ত।

আপাতত বিভিন্ন হলে যাতে ছবিটা চালু করা যায় সেই চেষ্টাই হচ্ছে। জানিয়েছেন এ ছবির পরিচালক অনীক দত্ত।

নিজস্ব সংবাদদাতা 
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০৩:৪৬
Share: Save:

‘ভবিষ্যতের ভূত’ ছবিটি যাতে ফের দেখানোর ব্যবস্থা হয়, তার জন্য প্রযোজকদের সংস্থা ইম্পা এবং কলাকুশলীদের সংস্থা ‘ফেডারেশন অব সিনে টেকনিশিয়ানস অ্যান্ড ওয়ার্কার্স অব ইস্টার্ন ইন্ডিয়া’র কাছে আবেদন করেছেন ছবির প্রযোজক কল্যাণময় চট্টোপাধ্যায়। একই সঙ্গে কেন ছবিটি তুলে নেওয়া হল তার কারণ জানতে চেয়ে হল মালিক এবং সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলিকে আইনি নোটিস পাঠানোর তোড়জোড়ও শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন ছবির পরিচালক অনীক দত্ত। সোমবার অনীক বলেন, ‘‘আইনি নোটিস পাঠানোর কাজটি করছে প্রযোজক সংস্থা। ইম্পা, ফেডারেশনের সঙ্গেও যোগাযোগ করা হয়েছে।’’

রবিবার ইম্পার সভাপতি পিয়া সেনগুপ্ত জানিয়েছিলেন, শনি ও রবিবার ছুটি থাকায় তাঁরা অনীকের ই-মেল দেখতে পারেননি। এ দিন তিনি বলেন, ‘‘প্রযোজকের ই-মেল পেয়েছি। মাল্টিপ্লেক্সগুলি আমাদের সংগঠনের অংশ নয়। হল মালিকদের সঙ্গে বৈঠক করার ব্যবস্থা করছি। আমরা চাই ছবি চলুক। তবে বিশৃঙ্খলা যাতে না হয়, সেটিও দেখার বিষয়।’’

অনীক এ দিন জানান, আর্থিক ক্ষতির বিষয়টি মাথায় রেখে বিকল্প ভাবনা শুরু হয়েছে, তবে স্পষ্ট কোনও পরিকল্পনা এখনও হয়নি। আপাতত বিভিন্ন হলে যাতে ছবিটা চালু করা যায় সেই চেষ্টাই হচ্ছে। তবে বিজ্ঞাপন জগতের অনেকেই মনে করছেন, সাময়িক আর্থিক ক্ষতি হলেও, ছবিটি নিয়ে গন্ডগোল শেষ পর্যন্ত প্রচারেই সাহায্য করবে। কারণ, ‘নেগেটিভ পাবলিসিটি’ও একরকম প্রচার। বিশিষ্ট বিজ্ঞাপন কর্মী সৌভিক মিশ্র বলেন, ‘‘এর ফলে মানুষের মধ্যে ছবিটি দেখার আগ্রহ অনেক বেড়ে যাবে।’’ বিষয়টি কার্যত মেনে নিলেও অনীকের মন্তব্য, ‘‘এতে আমাদের কোনও হাত নেই।’’

অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ ভূতের

ঘটনাটি নিয়ে রাজনৈতিক মহলেও আলোচনা হচ্ছে। এসএফআই ও ডিওয়াইএফআই আজ, মঙ্গলবার রাসবিহারী মোড়ে প্রতিবাদ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। বিবৃতি দিয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্রও।

রাজনৈতিক মহলের একাংশের বক্তব্য, ‘দ্য অ্যাক্সিডেন্টাল প্রাইম মিনিস্টার’ নিয়ে গন্ডগোল হওয়ার পরে কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি রাহুল গাঁধী কর্মীদের সংযত হওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। বলেছিলেন, মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে সম্মান করা উচিত। পছন্দ না হলে, উপেক্ষা করতে হবে। বাধা দেওয়া ঠিক নয়। অনীকের ছবির ক্ষেত্রেও যদি রাজনৈতিক প্রশ্নে কোনওরকম গন্ডগোলের আশঙ্কা থাকে, সে জন্য আগাম সতর্কতা নেওয়াই তো যথেষ্ট। কী হবে, তা না জেনেই ছবি বন্ধ করে দেওয়া কতটা যুক্তিযুক্ত, সে প্রশ্ন তুলছেন অনেকেই।

উল্লেখ্য, এ দিনই মুখ্যমন্ত্রীর এক সাংবাদিক বৈঠকে এ প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে তিনি অঙ্কুরেই তা নস্যাৎ করে দিয়ে বলেন, ‘‘এটা নিয়ে কোনও উত্তর দেব না।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE