‘ভবিষ্যতের ভূত’ ছবিটি যাতে ফের দেখানোর ব্যবস্থা হয়, তার জন্য প্রযোজকদের সংস্থা ইম্পা এবং কলাকুশলীদের সংস্থা ‘ফেডারেশন অব সিনে টেকনিশিয়ানস অ্যান্ড ওয়ার্কার্স অব ইস্টার্ন ইন্ডিয়া’র কাছে আবেদন করেছেন ছবির প্রযোজক কল্যাণময় চট্টোপাধ্যায়। একই সঙ্গে কেন ছবিটি তুলে নেওয়া হল তার কারণ জানতে চেয়ে হল মালিক এবং সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলিকে আইনি নোটিস পাঠানোর তোড়জোড়ও শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন ছবির পরিচালক অনীক দত্ত। সোমবার অনীক বলেন, ‘‘আইনি নোটিস পাঠানোর কাজটি করছে প্রযোজক সংস্থা। ইম্পা, ফেডারেশনের সঙ্গেও যোগাযোগ করা হয়েছে।’’
রবিবার ইম্পার সভাপতি পিয়া সেনগুপ্ত জানিয়েছিলেন, শনি ও রবিবার ছুটি থাকায় তাঁরা অনীকের ই-মেল দেখতে পারেননি। এ দিন তিনি বলেন, ‘‘প্রযোজকের ই-মেল পেয়েছি। মাল্টিপ্লেক্সগুলি আমাদের সংগঠনের অংশ নয়। হল মালিকদের সঙ্গে বৈঠক করার ব্যবস্থা করছি। আমরা চাই ছবি চলুক। তবে বিশৃঙ্খলা যাতে না হয়, সেটিও দেখার বিষয়।’’
অনীক এ দিন জানান, আর্থিক ক্ষতির বিষয়টি মাথায় রেখে বিকল্প ভাবনা শুরু হয়েছে, তবে স্পষ্ট কোনও পরিকল্পনা এখনও হয়নি। আপাতত বিভিন্ন হলে যাতে ছবিটা চালু করা যায় সেই চেষ্টাই হচ্ছে। তবে বিজ্ঞাপন জগতের অনেকেই মনে করছেন, সাময়িক আর্থিক ক্ষতি হলেও, ছবিটি নিয়ে গন্ডগোল শেষ পর্যন্ত প্রচারেই সাহায্য করবে। কারণ, ‘নেগেটিভ পাবলিসিটি’ও একরকম প্রচার। বিশিষ্ট বিজ্ঞাপন কর্মী সৌভিক মিশ্র বলেন, ‘‘এর ফলে মানুষের মধ্যে ছবিটি দেখার আগ্রহ অনেক বেড়ে যাবে।’’ বিষয়টি কার্যত মেনে নিলেও অনীকের মন্তব্য, ‘‘এতে আমাদের কোনও হাত নেই।’’