‘গাকি’র শুটিংয়ের ফাঁকে অনির্বাণ চক্রবর্তী। নিজস্ব চিত্র।
পরিত্যক্ত কারখানার ভিতরে ‘গাকি’র শুটিং চলছে। অন্ধকারে কোথায় পা পড়ছে বোঝা দায়। এ দিকে-সে দিকে মলমূত্রের দুর্গন্ধ। শ্বেতবস্ত্রে উত্তরীয় গায়ে মুখ কুঁচকে দাঁড়িয়ে রয়েছেন অনির্বাণ চক্রবর্তী। পরিচালক তথাগত মুখোপাধ্যায় ‘অ্যাকশন’ বলতেই চোখমুখ শান্ত, সমাহিত। ধীর পায়ে এগিয়ে গেলেন। ফ্রেমের বাইরে চলে গেলেন পরিমিত লয়ে। কিন্তু তার কিছু পরেই অন্য দৃশ্য।
বজবজের এক প্রত্যন্ত এলাকায় ছবির শুটিং চলছিল। পোড়ো বাড়ির বাইরে বেরিয়ে এসে অনির্বাণের চোখেমুখে ফের অস্বস্তি ফুটে উঠল। হাতের জপমালা অন্য এক জনকে ধরতে বলে গা চুলকোতে শুরু করলেন। বুক, পেট, হাত— সব জায়গায় চুলকে চলেছেন। তার পর পোশাক সরাতেই দেখা গেল, গায়ে লাল চাকা চাকা দাগ। কী হয়েছে অভিনেতার? জিজ্ঞাসা করতেই হেসে বললেন, ‘‘এই এক সমস্যা। নোংরা দেখলেই আমার এটা হয়। ভিতরে কিছু মাড়িয়ে এলাম মনে হল।’’
ছোটবেলা থেকেই কি এই সমস্যা? অনির্বাণ ওরফে একালের জনপ্রিয় ‘একেনবাবু’ জানালেন, না। সমস্যা চাকরিজীবন থেকে। কলেজে পড়াতেন যখন, সকালে তাড়াহুড়োতে ফুটপাতের দোকানে খেতে গিয়েও একই সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন। বললেন, ‘‘ওই যে নোংরার মধ্যে রেখে পেঁয়াজ কাটছে... ওমলেটে দেবে... ওই দেখার পর যেই খেলাম, অমনি সারা গায়ে অ্যালার্জি বেরিয়ে গেল।’’
চিকিৎসকের কাছেও গিয়েছেন অনির্বাণ। কিন্তু চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ জানান, এই অসুখ মনের। যেই কোনও কিছুতে ঘেন্না পান, তখনই বিদ্রোহ করে ওঠে তাঁর শরীর। এ নিয়েই শুটিং করেন অনির্বাণ। তাঁর সতীর্থরাও জানেন এই মজাদার অসুখের কথা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy